অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন দিয়ে নতুন নির্বাচন দিতে হবে-চট্টগ্রামে মির্জা ফখরুল

7
.

বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন দিয়ে নতুন নির্বাচনের দাবী জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামীলীগ নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন নির্বাচন জনগনের আস্থা নেই। তাই জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সরকারকে বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন দেয়ার দাবী করেছেন।

তিনি আজ শনিবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজীর দেউড়িস্থ নূর আহমদ সড়কে বিএনপি আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

.

কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে চট্টগ্রাম উত্তর দক্ষিণ জেলা ও মহানগরীর উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে বারবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন খালেদা জিয়া আওয়ামীলীগ বারবার গণতন্ত্র ধ্বংস করে স্বৈরাচারিভাবে দেশ চালাচ্ছে তাই তারা গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়েছেন। তিনি অবিলম্বে বেগম জিয়ার মুক্তি দাবী করে বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে বেগম জিয়াকে বিনা দোষে কারাগারে আটকে রেখেছে।

তিনি বন্যাদুগর্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের গ্রামে গ্রামে গিয়ে ছড়িয়ে পড়তে হবে। জনগণকে নিয়ে গণঅভূত্থান ঘটাতে হবে। জনগণের কাছে গিয়ে একযোগে কাজ করতে হবে। সরকার বা আওয়ামী লীগের কাউকে বন্যা দুগর্ত মানুষদের পাশেদেখা যাচ্ছে না বলে উল্লেখ্য করেন তিনি।

.

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, আজ আদালতে মানুষ খুন হচ্ছে। তারা শুধু গণতন্ত্রকে ভয় পায় জনগণকে ভয় পায় বলেই জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল কায়েম করে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে আজও তারা মানুষকে হত্যা করছে।

গরিব মারার বাজেট দিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই প্রবীণ নেতা বলেন, বাজেটের পরপরই দ্রব্যমূল্য দাম বড়েছে।দেশ ঋণের বোঝার মধ্যে পড়েছে জনগণ।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ডঃ খন্দকার মোশারফ হোসেন, গয়স্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজান,মীর মোঃ নাছির উদ্দীন আবদুল আওয়াল মিন্টু, গিয়াস উদ্দীন কাদের চৌধুরী, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস কেন্দ্রিয় নেতা গোলাম আকবর খোন্দকার, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, শফিউল বারী বাবু, আব্দুল ওয়াদুদ ভুঁইয়া, চাচিং ফ্লু জেরী,

সমাবেশে বিশেয় অতিথির বক্তব্যে ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, যে দুই কোটি টাকার ভুয়া মামলায় বেগম জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে সেই দুই কোটি টাকা সুদে আসলে এখন ৬ কোটি টাকা ব্যাংকে জমা রয়েছে। কোন দূর্নীতি করেনি বেগম জিযা জিয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছেন বলেই তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে।

.

শহীদ জিয়া এই চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতা ঘোষনা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছিলো। আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশের গণতন্ত্র ১৯৭৪ সালে বাকশাল করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলো। তারপর শহীদ জিয়া সিপাহ জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

এদিকে সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী ব্যানার পেস্টুনসহকারে মিছিল নিয়ে আসতে থাকে। নগরী ছাড়াও জেলার ১৪ থানা এবং ফেনী কক্সবাজার রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়িসহ বিভাগের অন্যন্য জেলার নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দিয়েছেন বলে বিএরপির নেতারা জানান।

সমাবেশকে ঘিরে নগরীর কাজীর দেউড়ি থেকে লাভলেইন পর্যন্ত নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। সিএমপির এসি ওসিদের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।

সমাবেশস্থলে থাকা কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, সমাবেশ শুরু হয়েছে একঘন্টা আগে। কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা ঘটেনি। পুলিশ কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করছে যাতে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।

বিশাল এ সমাবেশ আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, জয়নাল আবেদীন ভিপি, ডঃ সুকোমল বডুয়া, গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হকল ফজু, বেগম রোজী কবির, যুগ্ম মহা সচিব ব্যারিঃ মাহবুব উদ্দীন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সমাবেসের সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম ,দক্ষিন জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মৎস সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল, শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহিলা সম্পাদক নুরী আরা সাফা,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার,হারুনুর রশীদ ভিপি,সহ দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ, সহ ধর্ম সম্পাদক এড, দীপেন দেওয়ান, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিঃ সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান,কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল, মশিয়ুর রহমান বিপ্লব, মজিবুর রহমান, আবদুল ওয়াদুদ ভূইয়া, কেন্দ্রীয় স্বেচ্চাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুবদলের সিঃ সহ সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, কক্সবাজার জেলার সভাপতি শাহজান চৌধুরী, রাঙ্গামাটির সভাপতি শাহ আলম, বান্দরবানের সভাপতি সাচিং প্রু জেরী, কেন্দ্রীয় তাতী দলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, ইয়াসিন আলী, বিএনপি নেতা এম এ আজিজ, এড,আবদুস চাত্তার, দীপন তালুকদার দিপু, এস কে খোদা তোতন, শেখ মহিউদ্দীন, ইদ্রিস মিয়া চেয়ারম্যান, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দীন, নাজিমুর রহমান, রফিকুল আলম মজনু, শহিদুল ইসলাম ফরহাদ, কর্নেল আজিম উল্লাহ বাহার, মোঃ জাবেদ রেজা, আলী আব্বাস, নুরুল আমিন, ইন্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, জসিম উদ্দীন সিকদার, কাজী বেলাল উদ্দীন, শাহ আলম আবদুল মান্নান, আহমেদুল আলম রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, এড, আবু তাহের, মাহবুবুল আলম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক ফাতেমা বাদশা, মহানগর মহিলাদলের সভাপতি কাউন্সিলার মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারন সম্পাদক জেলী চৌধুরী, দক্ষিন জেলা যুবদল সভাপতি মোঃ শাহজান, উত্তর জেলা যুবদল সভাপতি হাসান জসিম, মহানগর স্বেচ্চাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু প্রমূখ ।

সমাবেশ পরিচালনা করেন মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন ও সাংগটনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম।

৭ মন্তব্য
  1. Saifur Rahman বলেছেন
  2. Ismail Hossain বলেছেন

    যাদেরকে বলছে তাঁরা কিয়ামত হবে কিন্তুু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিবেনা কারন তাদের মনের মধ্যে গদি হারানোর ভয় কাজ করছে

  3. Md Alamgir Habib বলেছেন

    বড়ভাই আপনার মিঠা কথায় চিরা বিজবেনা।

  4. Shahidul Islam Sumon বলেছেন

    এসব কথা আর কত বলবেন।

  5. Md.sahin বলেছেন

    আপনাদের কাছে নির্বাচনে তো কখনো সঠিক হয় না । আপনদের কথা হলো আপনারা দেশের নির্বাচনে ভোট চুরি করতে না পারলে সেই নির্বাচন নিরপেক্ষ হয় না । বিএনপির কোনো ফালতু কথা শুনার সময় দেশের জনগনের কাছে নেই । বিএনপি এখন দিশেহারা হয়ে কি করবে সেটা বুঝতে না পেরে এখন এইসব পাগলের মত কথা বলে বেড়াচ্ছে।

  6. Emon hossan বলেছেন

    নির্বাচন কি আপনাদের মুখের কথা হবে যে আপনারা যখন চাইবেন দেশে নির্বাচন হবে । বিএনপির এইসব ফালতু কথা শুনার সময় দেশের জনগনের নেই । এইসব বলে কি করতে চাই তারা ্ নির্বাচন ঠিকই হয়েছে কিন্তু আপনারা তো ভোট চুরি করতে পারেন নি বলে এখন এইসব নাটকের নির্বাচন চাইছেন যাতে করে আপনারা ভোট চুরি করে দেশের নির্বাচনে জয়ী হতে পারে ন ।

  7. Ishaan khan বলেছেন

    নিরপেক্ষ নির্বাচনে বর্তশান সরকার ক্ষমতায় েএসেছে । আপনাদের কথা হলো যে আপনারা নির্বাচনে এসে ভোট চুরি করে দেশের ক্ষমতায় আসতে চায় । বিএনপির রাজনিতি হল জ্বালাও পোড়াও রাজনীতি মানুষ মারার রাজনীতি । বিএনপি কে জনগণ বর্জন করেছেন । জনগণ আর কোন অপরাধি কে ক্ষমতায় দেখতে চায় না ।