অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

শ্রীলংকার বিপক্ষে জয়ের পথে বাংলাদেশ

0
.

শ্রীলংকা বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে জয়ের পথে বাংলাদেশ। মোহাম্মদ মিঠুনের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে প্রস্তুতি জোরদারের ম্যাচে জয়ের দুয়ারে তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দলটি।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৪৩ ওভারের খেলা শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান। জয়ের জন্য শেষ ৩৬ বলে প্রয়োজন ৪২ রান। ৮৪ রানে ব্যাট করছেন মোহাম্মদ মিঠুন।

সোমবার শ্রীলংকার কলম্বোর পি সারা ওভালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ২৮২ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক দলটি।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৪৫ রান সংগ্রহ করে ফেরেন সৌম্য সরকার। এরপর ১৩ রানের ব্যবধানে ফেরেন অন্য ওপেনার তামিম ইকবাল। ৪৭ বলে ৩৭ রান করেন তামিম। আর মাত্র ১৩ রানে ফেরেন সৌম্য।

এরপর তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে ৭৩ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ মিঠুন। ইনিংসের শুরু থেকে অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া জাতীয় দলের নির্ভর যোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ফিফটি তুলে নেন। কিন্তু অর্ধশতক হাঁকানোর পর ডি সিলভার লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশ দলের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। তার আগে ৪৬ বলে ৬টি চার ও এক ছক্কায় ৫০ রান করেন মুশফিক।

মুশফিকের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে ফের জুটি গড়ে তোলেন মিঠুন। চতুর্থ উইকেটে তারা যোগ করেন ৯৬ রান। আকিলা ধনাঞ্জয়ার অফ স্পিনে কাবু হয়ে সাজঘরে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। তার আগে ৩৭ বলে তিনটি চারের সাহায্যে ৩৭ রান করেন রিয়াদ।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই বিপদে পড়ে যায় শ্রীলংকা। অধিনায়ক ডিকাভেলাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন রুবেলে হোসেন। দ্বিতীয় উইকেটে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আভাস দেন গুনাথিলাকা ও ওশাদা। তাদের এ জুটির ভাঙেন রুবেল। মোসাদ্দেকের ক্যাচ বানিয়ে ওশাদা ফার্নান্দোকে প্যাভিলিয়নে পাঠান রুবেল। খানিক ব্যবধানে গুনাথিলাকাকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন আহমেদ। আউট হওয়ার আগে ৫ চারে ২৬ রান করেন এ লংকান ব্যাটসম্যান। মাত্র ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েন স্বাগতিকরা।

সেখান থেকে দলকে কক্ষে ফেরানোর লক্ষ্যে জুটি বাঁধেন রাজাপাকশে ও জয়সুরিয়া। তাদের ৮২ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পায় শ্রীলংকা। তবে এ দুজন ফিরতেই আবার পথ হারায় দলটি। দলীয় ১১৪ রানে রাজাপাকশেকে সাব্বিরের তালুবন্দি করেন সৌম্য। ফেরার আগে ৪ চারে ৩২ রান করেন তিনি। পরক্ষণেই লংকান শিবিরে ছোবল মারেন মোস্তাফিজ। পেরেরাকে আউট করেন তিনি।

পরে পথের কাঁটা হয়ে থাকা জয়সুরিয়াকে ফিরিয়ে দেন সৌম্য। ততক্ষণে ৫ চারে ৫৬ রান করে ফেলেন তিনি। দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে ফের বিপর্যয়ে পড়ে শ্রীলংকা। সেখান থেকে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন শানাকা ও ওয়ানিন্দু। ৪৯ রানের জুটি গড়ে মাঝের ধাক্কা সামাল দেন তারা। দলীয় ১৯৫ রানে ব্যক্তিগত ৩২ রান করে শেষেরজন ফিরলেও বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যান লংকানরা। পরে রানের গতি বাড়িয়ে চলেন শানাকা। শেষদিকে তার ঝড়ে এলোমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ।

যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন জোগান আকিলা। অবশ্য বেশি রান করতে পারেননি তিনি। তামিমের ম্যাজিক্যাল থ্রোতে রানআউট হয়ে ফেরেন এ লোয়ারঅর্ডার ব্যাটার। তবে শানাকা তাণ্ডব চলতেই থাকে। ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়ে লাল-সবুজ জার্সিধারী বোলারদের কচুকাটা করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৮২ রান করে শ্রীলংকা। ৬৩ বলে ৬টি করে চার-ছক্কায় ৮৬ রানের হার না মানা টর্নেডো ইনিংস খেলেন শানাকা। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে তাকে সঙ্গ দেয়া অপোন্সো ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন।