অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ভারত থেকে অবৈধভাবে আমদানিকৃত ২০০ কেজি “ভায়াগ্রার” চালান আটক

0
.

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধিঃ
বেনাপোল বন্দরে প্রথমবারের মতো অবৈধভাবে ভারত থেকে আমদানিকৃত ২০০ কেজি “ভায়াগ্রার” চালান আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এই চালানের বিষয়ে কাস্টমস সুত্র জানায়, ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রেড গ্রীন ইন্টারন্যাশনাল, ভারত থেকে ৫’শ কেজি ফ্লেবার আমদানি করে। যার এলসি নং-২৯৬৬১৯০১০০৩৬, তারিখ: ০২/০৪/২০১৯। কাস্টমস মেনিফেস্ট নাম্বার- ১৩৬১৩তারিখ: ১০/০৪/২০১৯, বিল অব এন্ট্রি নম্বার -সি-২৫৫৭৭, তারিখ: ১৩/০৪/২০১৯, পণ্য চালানটি রাজস্ব পরিশোধ করে বন্দর থেকে খালাশ নেয়ার সময় গোপন সুত্রে খবর পেয়ে কাস্টমস কর্মকর্তারা পন্য চালানটি আটক করে গত ১৬ এপ্রিল বিকেলে।

এনিয়ে বুধবার দুপুরে বেনাপোল কাস্টমস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী জানান, পণ্য চালানের সাথে ফ্লেভার-৫০০ কেজি, সাদা পাউডার-২০০ কেজি, সিরিঞ্জ- ১,৯৪,০০০ পিস,ইমিটেশন জুয়েলারি-১১০.৭৭ কেজি, শাড়ি- ৩০৩ পিস, ওড়না- ১৪ পিস, কামিজ- ১০ পিস, সালোয়ার- ০৯ পিস, থ্রী-পিস- ৩৮ পিস, শার্ট- ১৯ পিস, প্যান্ট- ১২২ পিস। পরে সতর্কতার সাথে কাস্টম হাউসের নিজস্ব অত্যাধুনিক ল্যাবে “রমন স্পেক্ট্রোমিটার’র” সহযোগীতায় ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে পরীক্ষা শেষে ২’শ কেজি ভায়াগ্রা পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর পণ্য বিবেচনায় পণ্যের নমুনা খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) পাঠানো হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর কুয়েট পরীক্ষা করে পণ্যটিকে ৯৮ % ভায়াগ্রা বলে রিপোর্ট প্রদান করেন। কুয়েটের প্রতিবেদন প্রাপ্তির পরেই অপঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত হয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ব কাস্টমস সংস্থার ১৮২ সদস্য দেশকে মাদক, বিস্ফোরক ও এ ধরনের ক্ষতিকর পণ্য চোরাচালানের বিষয়ে দীর্ঘদিন সর্তকবার্তা দিলেও বাংলাদেশেই প্রথম আটক হলো এ ধরনের পণ্য চালান। বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে জানানো হলে তাঁরা ভবিষ্যতে আরো সতকর্তার সাথে কাজ করার নির্দেশনা দেন বেনাপোল সহ সকল কাস্টমস হাউসকে।

এ ঘটনায় সংশ্লিস্ট সিএন্ডএফ এজেন্ট আহাদ এন্টারপ্রাইজ’র লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়। বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য যুগ্ম কমিশনারের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা করা হবে বলে কাস্টমস সুত্র জানান।

ইতোমধ্যে এ ধরনের আর একটি চালান সন্দেহের তালিকায় রেখে খালাস স্থগিত করে নিবিড়ভাবে অনুসন্ধান করা হচ্ছে বন্দর অভ্যন্তরে।