অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

“তোমার পরিবার আর সংসার নিয়ে সুখে থাকো, আমি চলে গেলাম…..”

0
.

“তোমার পরিবার আর সংসার নিয়ে সুখে থাকো,আমি চলে গেলাম,জীবনে ছোট্ট একটি ভুলের জন্য জীবনটাই বিসর্জন দিলাম,আর ভুলটা হলো ভালোবেসে তোমাকে বিয়ে করা। আমাকে বজরাপুর পাঠিয়ে দিও, আমার লাশ ছোঁয়ার কোন অধিকার তোমাদের নেই”

স্বামীর উদ্দেশ্যে এই কয়েকটি কথা সাদা কাগজে লিখেই নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে পারপারে চলে গেল চন্দনা রানী সরকার (২৫) নামে এক গৃহবধূ।

জেলার সীতাকুণ্ডে উপজেলার বার আউলিয়া বত্তারপাড় এলাকায় বত্তার বাড়ির এ ঘটনা ঘটেছে।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই জুলফিকার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহিলার স্বামী জয় কুমার সরকারকে আটক করেছি।

আজ বুধবার (৭ আগষ্ট) দুপুর দেড়টার দিকে ভাড়া বাসায় সিলিং প্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্তবস্থায় চন্দনার মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।

স্বামী শ্রী জয় কুমার সরকার এর সাথে স্থানীয় আবুল কাসেমের ভাড়া বাসার দ্বিতীয় তলায় তারা থাকতো।

.

স্বামী শ্রী জয় কুমার সরকার বার আউলিয়া এলাকায় আর এফ এল একটি গোডাউনে টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত আছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর ধারানা সাংসারিক কিংবা দাম্পত্য সমস্যার কারণে অসুখি ছিলেন চন্দনা। এ অভিমান থেকে তিনি ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্নহত্যা করেছেন। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

জানাগেছে, এই দম্পতি গত শনিবার (৩আগষ্ট) উক্ত এলাকায় ভাড়া বাসায় উঠে। তাদের গ্রামের বাড়ি বগুড়া জেলার শেরপুর থানার চকখানপুর গ্রামে।

আজ সকালে চন্দনার স্বামী অফিসের উদ্দ্যেশে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। দুপুর ১১ ফোন করে স্বামীকে ভাত খেতে আসতে বলে, জয় কুমার দুপুর দেড়টার সময় ঘরে এসে দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। এসময় ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে দেখতে পায় তার স্ত্রী সিলিং ফ্যানের সাথে উড়না পেঁছিয়ে ঝুলে আছে। জীবিত আছে ভেবে সে দেহটি মাটিতে নামিয়ে আনে। পরে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিনকে জানালে তিনি পুলিশকে অবহিত করেন।

খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই জুলফিকার হোসেন ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন। পুলিশ জিগ্যেসা বাদের জন্য জয় কুমারকে আটক করেছে।

পুলিশ বাসার খাঁটের ওপর থেকে চন্দনার লেখা একটি চিরকুটটি পেয়েছে। এতে চন্দনার তার আত্মহত্যার কথা জানায়।

এব্যাপারে স্বামী জয় কুমারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতরাতে (মঙ্গলবার) চন্দনার ফেইসবুকে তার এক কলেজ বন্ধু ভাইবা পরিক্ষা কেন দাওনি জানতে চাই, লিখাটি দেখে আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করি ” তুমিতো আমাকে বলেছো ভাইবা পরিক্ষা দিয়েছো,তুমি পরিক্ষা না দিয়ে আমার সাথে মিথ্যা কেন বললে ? এই নিয়ে রাতে দুইজনের মধ্যে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। আবার ঠিক হয়ে যায়। সকালে আমি অফিসে যাওয়ার পর আমাকে ফোনও করে। এখন কেন সে আত্নহত্যা করেছে তা বুঝতে পারছিনা। চন্দনা রানী সরকার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া আকবর আলী কলেজের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী ছিলেন।