চট্টগ্রাম কলেজে কোটা আন্দোলনের নেতাকে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ
কোন কারণ ছাড়াই কোটা সংস্কার আন্দোলনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক এরশাদ আলীকে পিটিয়ে আহত করে পলিশের হাতে তুলে দিয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগষ্ট) মাগরিবের নামাজের পর প্যারেড মাঠ থেকে ছাত্রলীগ এরশাদ আলীকে ধরে চট্টগ্রাম ক্যাম্পাসে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে। এদিকে এরশাদ আলীকে মারধরের সময় ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আর ওই সময় ক্যাম্পাসে অবস্থান করা ছাত্ররা ভয়ে গ্রীল টপকাতে গিয়ে পা পিছলে হাতের মধ্যে লোহার রড ঢুকে ঝুলেতে থাকে এক যুবক। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দলের সদস্যরা গিয়ে লোহা কেটে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) জহিরুল হক ভূইয়া জানান, রাত আটটার দিকে এক যুবকের বাম হাতে লোহাড় শিক ঢুকানো অবস্থায় নিয়ে আসে অগ্নিনির্বাপন কেন্দ্রের সদস্যরা। তার হাতে মধ্যে তীরের মতো লোহার বড় ঢুকে আছে।
চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন, কলেজের ছেলেরা এক যুবককে আটক করে আমাদেরকে দিয়েছে। আমরা থানায় নিয়ে এসেছি। কোটা সংস্খার আন্দোলনের যে সমস্ত মামলা বা অন্য যেসব মামলা রয়েছে সেখানে তার নাম আছে কিনা যাচাই করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে কেন সে এখানে এসেছে। তবে এই মুহুর্তে আমরা তাকে আটক বা গ্রেফতার কোনটাই দেখাচ্ছি না।
ঠিক আছে
ওদের তো আর কোন কাজ নেই। কাজ মাত্র দুটো একটা টেন্ডার বাজী আর একটা বিরোধী মতকে গলাটিপে হত্যা করা।
চট্টগ্রাম কলেজ অনেকদিন পর বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে এবং এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম কলেজে উগ্রবাদী রাজনীতি এবং ধর্মীয় লেবাস গায়ে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের উগ্রতা ছড়ানো হত সেটি বন্ধ হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা বলতে তারাই এই ধরনের আন্দোলনের সাথে জড়িত যারা কিনা জামায়াত-শিবির ও বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত। চট্টগ্রাম কলেজের আশেপাশে তারা অবস্থান গ্রহণের মাধ্যমে আবারও জামায়াত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে সেটি আমরা বুঝতে পারছি আর তারা তাদের পরিচয় লুকাচ্ছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা হিসেবে। তাই তাদের বিরুদ্ধে এমন কাজ করাটা কে অসাভাবিক হিসেবে দেখছি না কারণ এরা যা করছে সেটি অবশ্যই কলেজ গুলোর জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।