যুবলীগের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
দামুড়হুদা উপজেলার শিল্পনগরী দর্শনাতে ‘যুবলীগের’ দুপক্ষে সংঘর্ষের সময় একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও একজন।
শুক্রবার বিকালে দর্শনা রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবলীগকর্মী নাইমুল ইসলাম পল্টু (৩৫) উপজেলার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রউফের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে বিকালে মান্নান-তোতা-ছোট এবং হেলাল-মঞ্জুর গ্রুপের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় মান্নান-তোতা-ছোট গ্রুপের হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন নাইমুল। সেই সাথে গুরুতর আহত হয় মঞ্জুর আহম্মেদ। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঞ্জুর দাবি করেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র নিয়ে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান ছোট, দর্শনা পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দীন তোতা ও সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে ৬-৭ জন তাদের ওপর হামলা করেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মাদকের ব্যবসা নিয়ে ওই দুপক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। তিন মাস আগে তাদের মধ্যে গোলাগুলিও হয়।
দামুড়হুদা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দর্শনার বেশ কয়েকটি জায়গায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
এদিকে, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ও যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘দর্শনায় নিজেদের মধ্যে হামলায় নিহত নাইমুল ও হামলাকারীরা কেউ যুবলীগের সাথে সম্পৃক্ত নন। নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে তারা যুবলীগের পদ-পদবী ব্যবহার করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন।’