অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ব্রাজিলে বেড়েই চলেছে মসজিদ ও মুসলমানদের সংখ্যা (ভিডিও)

0
.

ব্রাজিলের সাওপাওলোতে প্রতি মাসে গড়ে ৬ জন ইসলাম গ্রহণ করছেন বলে এক প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে। ফুটবলের জন্য বিখ্যাত ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল।

আগে ইসলাম গ্রহণ করেছেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার সার্জিও রিকার্দো নেভাস। আর নিজেকে মুসলমান হিসেবে ঘোষণা করার পরের দিনই মক্কায় ওমরাহ পালনে দেখা গেল তাকে।

ব্রাজিলের সাবেক এই ফুটবলার ক্যারিয়ারের শেষের সময়টায় দীর্ঘদিন খেলেছেন মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি ক্লাবে। সেখানেই ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানার সৌভাগ্য হয় তার। শুধু ধর্ম গ্রহণই নয়, ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হবার সিদ্ধান্তকে নিজের জীবনের সেরা সিদ্ধান্তই মনে করছেন রিকার্দো।

.

রিকার্দোর ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা সম্বলিত একটি ভিডিও টুইটারে পোস্ট করেছেন সৌদি আরবের সাবেক ফুটবলার মোহাম্মদ সাওয়াদ। যেখানে দেখা যায় রিকার্দো বলছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এখন আমি একজন মুসলিম। মনে হয় আমার জীবনে নেয়া সেরা সিদ্ধান্ত এটা।’

জনসংখ্যার দিক থেকে দেশটির অবস্থান পঞ্চম।বর্তমানে দেশটিতে মুসলমানের সংখ্যা প্রায় ১৭ লাখ। যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫/৬ শতাংশ।

শতাংশের হারে দেশটিতে মুসলমানের সংখ্যা কম মনে হলেও সুসংবাদ হলো ফুটবলের দেশ ব্রাজিলে দ্রুত গতিতে বাড়ছে মুসলমান ও মসজিদের সংখ্যা। ১৫০০ খ্রিস্টাব্দে ব্রাজিলে প্রথম ইসলামের আগমন ঘটে। ১৯৫৮ সালে এক বক্তৃতায় ব্রাজিলিয়ান ইতিহাসবিদ জোয়াকিন দেশটিতে ইসলামের আগমনের ব্যাপারে তথ্য তুলে ধরেন।

ঐতিহাসিক তথ্য মতে, বিখ্যাত পর্তুগিজ পরিব্রাজক ও আবিষ্কারক আলভারেস কারবাল যখন ব্রাজিল উপকূলে যে জাহাজ ভেড়ান, সে জাহাজে বেশকিছু সুদক্ষ, কর্মঠ ও পারদর্শী মুসলিম নাবিক ছিলেন। এদের মধ্যে শিহাবুদ্দিন বিন মাজেদ একজন। তার হাত ধরেই ব্রাজিলে ইসলামের পদযাত্রা শুরু হয়।

১৭ লাখ মুসলমান অধ্যুষিত ব্রাজিলে বর্তমানে মসজিদের সংখ্যা প্রায় ১৩০টি। ব্রাজিলের প্রতিটি শহরেই রয়েছে মসজিদ। যেখানে ২০০০ সালে মসজিদ ৪০টির মতো সেখানে এ সংখ্যা ৪ গুণেরও বেশি বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩০-এ। তাছাড়া মসজিদের পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষায় রয়েছে অনেক মক্তব, মাদরাসা ও ইসলামিক স্কুল।

ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরিওতে রয়েছে সবচেয়ে বড় ইসলামিক সেন্টার। রয়েছে ইসলামিক স্কুল ও বড় মসজিদ। সাওপাওলোতে রয়েছে সবচেয়ে বড় মুসলিম কমিউনিটি। ল্যাটিন আমেরিকার এ দেশটিতে মুসলিমদের জন্য রয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিভিন্ন ইস্যুতে মুসলিমরা পাচ্ছে সরকারি সাহায্য ও সহায়তা।