চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বর তামাশার নির্বাচনের পর গণতন্ত্র এখন মৃতপ্রায়। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। দেশব্যাপী পথে-ঘাটে শুধু লাশের মিছিল। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশজুড়ে গণহত্যা, গুম, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, নিপীড়ন ও নির্যাতনের মহোৎসব চলছে।
তিনি আজ ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকালে মহিলা দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের উদ্যোগে কাজীর দেউরী মোড় থেকে র্যালী সহকারে এসে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
শাহাদাত বলেন, পিজি হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ঠিকভাবে না হওয়ায় তার শারীরিক অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে গুরুতর অসুস্থ। সরকার মিথ্যা বানোয়াট মামলায় সাজা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। একই মামলায় অন্য আসামীরা জামিনে থাকলেও তার জামিন প্রক্রিয়ায় বাধাগ্রস্থ করে মুক্তিতে বাধা দিচ্ছে। পিজি হাসপাতালের পরিচালক বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন বললেও আমরা মনে করি, এটা ষড়যন্ত্রেরই একটা অংশ। তার ন্যূনতম চিকিৎসার দিকে সরকার নজর দিচ্ছে না। চিকিৎসা শেষ না করেই বেগম খালেদা জিয়াকে ফের কারাগারে নেয়ার ষড়যন্ত্র করছে সরকার।
তিনি গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য মহিলা দলের নেতাকর্মীদেরকে আন্দোলন সংগ্রামে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দেশে এখন এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজমান। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকীর সম্মুখীন। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা দুর্নীতিতে ডুবে আছে। জনগণের অধিকার আদায় ও দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। তাই মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এইদিনে নেতাকর্মীদের আন্দোলনের লক্ষ্য হবে, হারানো ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও জনগণের মানবিক মর্যাদা সুরক্ষা করা। তিনি মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালীতে পুলিশী বাঁধা ও নারীনেত্রীদের লাঞ্চিত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের সভাপতি কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ¦ এম এ আজিজ, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, শাহেদ বক্স, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, সহ-মহিলা সম্পাদক ডা. লুসি খান, চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের সহ-সভাপতি খালেদা বোরহান, রেনুকা বেগম, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ছকিনা বেগম, যুগ্ম সম্পাদক আঁখি সুলতানা, রেজিয়া বেগম মুন্নি, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিয়া আকতার উষা, রাবেয়া বেগম রাবু, গোলজার বেগম, নগর মহিলা শ্রমিকদলের সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, মহিলা দল নেত্রী সায়মা হক, জেরিন আকতার , জিনাত রাজ্জাক জিনিয়া, জ্হোরা বেগম, জুলি আকতার, পারভীন চৌধুরী, তাসলিমা আহাম্মদ লিমা, জাহানারা আকতার, সায়েরা খাতুন, বকুল আকতার প্রমুখ।
ডা. শাহাদাত আপনারা গণতন্ত্রের মানে খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া আর কিছুই বুঝেন না।৩০ডিসেম্বর নির্বাচনে জনগণ আপনাদের বয়কট করেছে।২০১৪সালের নির্বাচন বানচাল করে সারাদেশে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষকে জ্বালিয়ে মারার রাজনীতি করেছেন।আর আপনারাই কিনা আবার নির্বাচনে জয়ের স্বপ্ন দেখেন
জনাব শাহাদাত হোসেন, নির্বাচনে জয়ী হতে হলে আগে দেশের জনগণের মন জয় করতে হয়।কিন্তু আপনারা জনগণের মন কে প্রাধান্য না দিয়ে জামায়াতকে প্রাধান্য দিয়েছেন।তাই ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিএনপিকে ভরাডুবি হতে হয়েছে।আপনারা জামায়াতকে সাথে নিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন।বিএনপি’ই মূলত দেশের গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছিল।
জনগণের ভোটে পরাজিত হয়ে এখন যারা জনগনের সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে বিভিন্ন অপপ্রচারের মাধ্যমে, তারাই সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রদ্রোহী। কারণ আপনারা যে বঙ্গবন্ধুর খেয়ে পড়ে জিয়াউর রহমান বিএনপিকে এতদূর এগিয়েছে, সেই বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে বহির্বিশ্বে অপপ্রচারের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন তারই লালিত-পালিত সন্ত্রাসীরা।
৩০ শে ডিসেম্বর নির্বাচন যদি তামাশার নির্বাচন হতো তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি নামক কোন দলের অস্তিত্ব থাকত না। আর গণতন্ত্র আছে বলেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন পর্যন্ত অনেকগুলো বিরোধী দল রয়েছে এবং তা বেড়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্রের সুন্দর আছে বলেই আপনারা এখনো সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলতে পারছেন। কিন্তু আপনারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তা অন্য বিরোধীদল পারেনি।
জনগণের রায়কে মেনে নিতে পারছে না বিএনপি।
ডঃ শাহাদাত হোসেন সাহেব আমরা আর বিএনপি’র গণতন্ত্র দেখতে চাই না। বাংলাদেশের মানুষ বিগত সময়ে বিএনপি গণতন্ত্রের নামে জঙ্গিবাদ বোমাবাজি গোলাগুলি হত্যার রাজনীতি দেখেছে। বিএনপি’র 5 বছরে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে টানা পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।বাংলাদেশ 500 টির বেশি বোমা হামলা হয়েছিল।বাংলাদেশকে একটি আতঙ্কের দেশ হিসেবে সারা বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল।আমরা এখন অনেক ভালো আছি দেশে একটি স্থিতিশীল পরিস্থিতি আছে সুতরাং উল্টাপাল্টা কথা বলে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করবেন না।
আমাদের এখনো স্পষ্ট স্মরণ আছে,বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে আমরা সবাই তালেবান বাংলা হবে আফগান এই স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি কথা প্রচলন ছিল যে,ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বোমা পড়বে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বাংলাদেশে বোমাবাজি জঙ্গিবাদের দেশ হিসেবে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে। বিএনপি’র 5 বছরে দেশে 500 টির বেশি বোমা হামলা হয়েছিল।63 জেলায় একযোগে বোমা হামলা করা হয়েছিল।বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল।গণতন্ত্রের নামে দুর্নীতিতে 5 বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ।একজন সচেতন বিবেকবান নাগরিক হিসেবে বলতে চাই,গণতন্ত্রের নামে সেই বাংলাদেশ বাংলার মানুষ আর দেখতে চায় ন্