অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামে প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে খালেদার মুক্তির দাবীতে বিএনপির মানববন্ধন

6
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সরকার সর্বক্ষেত্রে দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে। তারা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে পারছে না। কারণ তাদের সেই বৈধতা ও সাহস নেই। তাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পারছে না। ২ বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও তারা ফেরত পাঠাতে পারেনি। আসামে নাগরিকপঞ্জির নামে গভীর চক্রান্ত চলছে। আসামের নাগরিকপঞ্জির দাবি ভুল। নাগরিকপঞ্জির নামে দেশকে বিপদগ্রস্ত করতে গভীর চক্রান্ত শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ হুমকীর সম্মুখীন। সরকার এখন মাকাল ফলে পরিণত হয়েছে।

তিনি আজ ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নূর আহমদ সড়কে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে আরো বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। তাঁকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দিতে হবে। জনগণের অধিকার, ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

মানববন্ধনে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দেশে খুনি, সন্ত্রাসী, ধর্ষণকারী, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ীর জামিন হলেও বেগম খালেদা জিয়ার জামিন হয় না। কারান্তরিন বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তিনি ঠিকমত চলাফেরা করতে পারছেন না। সরকার তার জামিন দেয়া তো দূরের কথা চিকিৎসারও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।

কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, আদালত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বাইরে এক কদম হাঁটতে পারে না, তাই আদালতের ওপর নির্ভরশীলতা আর বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি রাখা একই কথা। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সরকার একমাত্র বাধা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আদালতকে প্রভাবিত করে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি বিলম্বিত করা হচ্ছে। এজন্য জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করতে হবে এবং নেত্রীকে মুক্ত করতে হবে।

এ সময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিঃ সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, দেশে এখন ভয়াবহ সংকট চলছে। জনগণের কাঁধে একদলীয় শাসন ভর করেছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। বিচারব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সবমিলিয়ে বিপর্যয়ের মুখে মাতৃভূমি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিতে একমাত্র বাধা শেখ হাসিনা। তাই এই সরকারের বিরুদ্ধে সারাদেশে আন্দোলনের কর্মসূচি চলবে। রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম’র পরিচালনায় মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ এম এ আজিজ, সামছুল আলম, এস এম অবুল ফয়েজ, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, সহসাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম (ডক), জিএম আইয়ুব খান, মো. সালাহ উদ্দিন, এস এম জাহাঙ্গির আলম, বিএনপি শিহাব উদ্দিন মুবিন, কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, হামিদ হোসেন, শেখ নুরউল্লাহ বাহার, থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, সরফরাজ কাদের রাসেল, আবদুল্লাহ আল হারুন, সালাউদ্দিন কায়সার লাভু, আবদুল হালিম স্বপন, রফিকুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস আলী, খোরশেদ আলম কুতুবী, জেলী চৌধুরী, আজাদ বাঙালী, আবু মুসা, আবুল খায়ের মেম্বার, মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, আবদুল হাই, আলী আজম, সালাহ উদ্দিন লাতু, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ জাকির হোসেন, মনির আহমেদ চৌধুরী, জসিম উদ্দিন জিয়া, হাজী বাদশা মিয়া, শরীফ উদ্দিন খান, নূর হোসাইন, আবদুল কাদের জসিম প্রমুখ।

৬ মন্তব্য
  1. Fahim sultan বলেছেন

    চট্টগ্রামের বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাহেব যে কথাগুলো বলেছেন সেগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কথা। কারণ তিনি যে এখানে বলছেন সরকার দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তাকে বলব এমন একটা দিক খুঁজে দেওয়ার জন্য যেটার মধ্যে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েছে সেটা বুঝা যাবে। একই সাথে তিনি যে রোহিঙ্গাদের বিষয় তুলে ধরেছেন রোহিঙ্গাদের বিষয় কিন্তু সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। কিন্তু তারপরও রোহিঙ্গাদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে না বলে তাদের এখনো পাঠানো সম্ভব হয়নি। এইসব বিষয় নিয়ে অপরাজনীতি করে তারা জনগণের সমর্থন লাভ করার চেষ্টা করছে যেটা কখনো সম্ভব নয়।

  2. Siraz Gazzi বলেছেন

    বর্তমান সরকার অন্যকোন কারো ওপর নির্ভর করে দেশ পরিচালনা করে না। এই অভ্যাস ছিল বিএনপি থেকে। আমরা কিন্তু ভুলে যায় নাই পাকিস্তানের লাভের চিন্তা করে যে দেশ পরিচালনা করেছিল বিএনপি আর আজকে তারা সেই একই কথা আওয়ামী লীগের ওপর বলছে। যেটা কখনো মেনে নেওয়ার মতো নয়। বর্তমান সরকার সম্পূর্ণভাবে দেশ এবং জাতির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে আর রোহিঙ্গা সমস্যা অতিশীঘ্রই সমাধান হয়ে যাবে।

  3. Nojrul Islam বলেছেন

    খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির মানববন্ধন করেছে এমনটা আমরা দেখলাম সারাদেশে, একটি প্রশ্ন হলো খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই ধরনের মানববন্ধন ও সমাবেশ গুলো করে কি তাকে মুক্ত করা যাবে কিনা? খালেদা জিয়ার মুক্তি তখনই নিশ্চিত করা যেতে পারে যখন আইন আদালতে প্রমাণ উপস্থাপন করা যাবে খালেদা জিয়া নির্দোষ। তখনই তার মুক্তি মিলতে পারে এছাড়া এই ধরনের আন্দোলন সংগ্রাম ও মানববন্ধন ধারা খালেদা জিয়ার মুক্তি কখনোই নিশ্চিত হবে না।

  4. Rikoto Kobir বলেছেন

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সরকার সর্বক্ষেত্রে দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে। তারা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে পারছে না। কারণ তাদের সেই বৈধতা ও সাহস নেই। তাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পারছে না।খালেদা জিয়ার মুক্তির মানববন্ধন করতে গিয়ে যখন আপনি বললেন নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছেনা তখন আপনাকে শুধু একটি কথাই বলব পররাষ্ট্রনীতির শক্তিশালী ছিল বলেই রোহিঙ্গাদের কে ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল মায়ানমার সরকার। তবে রোহিঙ্গাদের কে কোন একটি সম্প্রদায় উস্কানি দিয়ে ফেরত যেতে না দেওয়ার কারণে আমরা দেখেছি মায়ানমার সরকার চাইলেও রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়া যায়নি।

  5. Rahul Sen বলেছেন

    সরকার দেশকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে মানে সরকার দেশকে শেষ করে দিচ্ছে এই কথা যারা বলে সেই ডঃ শাহাদাত হোসেনের দল বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের আস্তানা বানিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য কিভাবে দেশের স্বাধীনতাকে বিনষ্ট করার চেষ্টা করেছিল সেটি এখনো জাতির ভুলে যায়নি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে শুধুমাত্র বিএনপিকে টিকিয়ে রাখার জন্য এবং আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করার মাধ্যমে যখন গণতান্ত্রিক অধিকার বাংলাদেশ থেকে বিরক্ত করে দিতে চেয়েছিল বিএনপি তখন সেটিকে অন্যায় অবিচার বলতে পারেনি বিএনপি নেতা। আজ যারা বলছে সরকার দেশকে জলাঞ্জলী দিচ্ছে তাদের একটু নিজেদের ক্ষমতার সময়কালের দিকে তাকানো উচিত তাতেই তারা বুঝতে পারবে দেশকে কারা জলাঞ্জলি দিয়ে ছিল।

  6. Akash Chy বলেছেন

    খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তারা দেশব্যাপী মানববন্ধন করেছে এবং দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সেটি আমরা শুনেছি। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করে তার মুক্তি নিশ্চিত করতে যখন ব্যক্ত হল তখন তারা বলেছে তারা বিশ্ব মিডিয়ার সহায়তা নেবে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি প্রচার করতে।বিশ্বের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিকট তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি তুললেও যখন দেখল খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত হচ্ছে না তখন তারা আবার আন্দোলন-সংগ্রামের ফিরে গিয়েছে এবং তারা বুঝতে পেরেছে কোন ধরনের কাজের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি যেহেতু নিশ্চিত করা যাবে না সেহেতু অবশ্যই এভাবেই আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।