অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সীতাকুণ্ডে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে গণছিনতাইয়ে শিকার ৪০ তরুণ পর্যটক (ভিডিও)

4
.

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে ভ্রমণে গিয়ে গণছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে ৪০ জন তরুন।  শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

ছিনতাইকারীরা তাদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। হামলায় এসময় কয়েকজনকে আহত করে।

এঘটনার পর ঐ তরুণরা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে কোন রকমের সহযোগীতা পাইনি বলে জানান।

এছাড়া ৪০জন তরুণ থানায় গিয়েও পুলিশের কোন প্রকার সহযোগীতা পাইনি বলে জানান। পরে তারা ক্ষোভে সামাজিক যোগাযোগ মাধমে সমস্ত ঘটনার বিবরণ এবং প্রশাসনের কোন সহযোগীতা পাইনি বলে একটি ভিডিও পোষ্ট করেন।

ওই ভিডিওতে তাদের মধ্যে একজন বলেন, গতকাল শুক্রবার ভোরের দিকে সীতাকুণ্ড পৌরসদর থেকে গাইড নিয়ে গাইডদের পরামর্শে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে উঠতে থাকেন। ভুমি থেকে মাঝপথে গেলে ৮/১০ জনের সশস্ত্র ডাকাতদলের সদস্যরা তাদের উপর হামলা চালায়।দুজনকে আঘাত করে আহত করে। তাদের সর্বস্ব লুট করে। পরে তাদেরকে এক জায়গায় জড়ো করে। বন্ধুদের ডাকাতি দেখে একজন ৯৯৯এ ফোনও করেছিল। সেখান থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় থানায় যোগাযোগ করতে।

পরে সকাল সাতটার দিকে তারা থানায় যান। এসময় পুলিশ তাদের একঘন্টা বসিয়ে রাখার পর মামলা করতে বলেন। তারা সাধারণ ডায়েরি করতে চাইলে তা নেননি। বরং মামলা করলে তারা আদালতে হাজিরা দিতে হবে বলে ভীতির সৃষ্টি করেন।

এব্যাপারে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলওয়ার হোসেন বলেন, কয়েকজন তরুনের ফোন পেয়ে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করেছে। তাদেরকে মামলা করতে বলা হয়েছে। কিন্তু কেউ বাদি হতে রাজি হননি। পরে তারা থানা থেকে বের হয়ে গেলেও আর ফেরেননি।

ভিডিও পোষ্টে ছিনতাইয়ের শিকার তরুণরা এধরণের নিরাপত্তাহীনতায় সীতাকুণ্ডে পর্যটক না আসার আহবান জানান।

উল্লেখ যে, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন শত শত ভ্রমণ পিয়াসু মানুষ সীতাকুণ্ডের দর্শনীয় স্থানে এসে বিশেষ করে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে ডাকাতদের আক্রমনের শিকার হয়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে।

৪ মন্তব্য
  1. Al-Hajj Mohd Aalam Patiya বলেছেন

    প্রশাসনের কি কোন দায়িত্ব নেই

  2. Manna Mazumder বলেছেন

    পর্যটক ৪০,ছিনতাইকারী কতো???

  3. Ivloo Ctg বলেছেন

    এমন সময় যদি ৯৯৯ কাজে না আাসে…তাইলে কি কাজে লাগিবে😕

  4. Rodrigo Duterte বলেছেন

    সীতাকুন্ডে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্টান, সেসব শিল্প প্রতিস্টানের সামনে কেউ একটা চকলেট বাজি ফুটালে সাথে সাথে শত শত পুলিশ ফোর্স নিয়ে হাজির হবে ওসি দেলোয়ার, কারন প্রতিস্টানের মালিকের কাড়ি কাড়ি টাকা যে কোন সময় টাকা খুঝলে লাখ লাখ টাকার বান্ডিল ওসি মহো দয়ের পকেটে ঢুকে যাবে।
    আর ছিনতাইয়ের শিকার সব গুলা তো অসহায় ভ্রমন পিপাসু, তাদেরকে পাছা মারলেও এক ফোটা রক্তও বের হবে না তা ওসি মহোদয় ভালো ভাবে বুঝেছেন বলেই ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া তরুনদের কোন সহযোগিতা কিংবা তাদের ছিনতাই হয়ে যাওয়া মালামাল গুলা উদ্ধারের কোন ধরনের ব্যাবস্থা নেয়নি তাই।