অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

“চট্টগ্রামে চোরাই মোবাইল ফোনের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে মামা-ভাগিনা সিন্ডিকেট”

1
.

চট্টগ্রামে চোরাই মোবাইল ফোন ক্রয় বিক্রয়ের এক বিশাল সিন্ডিকেটের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। নগরীতে চোরাই মোবাইল সেটের এই সিণ্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে মামা দোস্ত মোহাম্মদ ও তার ভাগিনা খোরশেদ আলম।

নগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজার কেন্দ্রিক এই চক্রটির বিভিন্ন চোরাই মোবাইলে দোকানে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার এবং ১৬০টি বিভিন্ন ব্রান্ডের চোরাই মোবাইল সেট উদ্ধার করেছে।

পুলিশ জানায়, নগরীর যে স্থান থেকে মোবাইল চুরি বা ছিনতাই করা হোক না, তা বিক্রি করতে হয় নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজারের এই সিন্ডিকেট সদস্যদের কাছে। সেখানে আছে নির্দিষ্ট দোকান, যেখানে শুধু ছিনতাই ও চুরি করা মোবাইল সেট বিক্রি করতে আসেন ছিনতাকারী দল। আর এসব ছিনতাই করা মোবাইল ক্রয় করে অধিক মুনাফা করছে একটি চক্র। যার নেতৃত্বে দেন রেয়াজুদ্দিন বাজারের আলোচিত চোরাই মোবাইল ক্রয়কারী র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত জাহিদুল ইসলাম আলো’র অন্যতম সহযোগি দোস্ত মোহাম্মদ ও তার ভাগিনা খোরশেদ আলম।

.

মামা-ভাগিনার এই সিন্ডিকেটের কাছেই বিক্রি করা হয় চোরাই ও ছিনতাই করা মোবাইলগুলো। গত সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর চেরাগী পাহাড়স্থ সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো-রাউজান উপজেলার নদীমপুর এলাকার মৃত দেলা মিয়ার ছেলে দোস্ত মোহম্মদ মানিক (৫৪), সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা এলাকার কবির আহম্মদের ছেলে খলিলুর রহমান (৩১), লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদের বলি বাড়ির হারুনুর রশিদের ছেলে সাহেদুল ইসলাম ও কুমিল্লার ফজরকান্দি এলাকার মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে মো. সোহেল রানা (৩০)। এ সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য খোরশেদ আলম (৩৫) নামে একজন পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে সিএপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান বলেন, ছিনতাইকারীরা নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছিনতাই করে মোবাইলগুলো রেয়াজুদ্দিন বাজারের চোরা মার্কেটে নিয়ে আসতো। তারা খুব অল্পদামে এই সিন্ডিকেটের কাছে মোবাইলগুলো বিক্রয় করত।

গত ২৯ অক্টোবর রবিবার লাভলেইন এলাকা থেকে চার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করার পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক ছিনতাই করার কথা স্বীকার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রেয়াজুদ্দিন বাজারে অভিযান চালিয়ে এই সিন্ডিকেটের চার সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় তাদের থেকে বিভিন্ন নামি ব্যান্ডের ১৬০টি চোরাই স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়।

কোতোয়ালী থানার ওসি মো. মহসীন পাঠক ডট নিউজকে বলেন, পেশায় তারা মোবাইল দোকানদার হলেও চট্টগ্রাম মহানগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের মার্কেটে অন্যান্য মোবাইল ক্রয়-বিক্রয়ের দোকানদারের তাহারাও দোকানে ব্যবসা পরিচালনা করে। বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা বৈধভাবে মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় করিলেও দোস্ত মোহাম্মদ মানিক (৫৪) ০২) মোঃ খলিলুর রহমান (৩১), ও পলাতক আসামী মোঃ খোরশেদ আলম (৩৫) মোবাইলের দোকান দিয়ে সকল ব্যবসায়ীর মত মোবাইল ব্যবসা করে না। তারা অধিক লাভের আশায় চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন চুরি, ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন সমূহ চোর, ছিনতাইকারীদের নিকট হতে নামমাত্র ক্রয় করে।

চোর ছিনতাইকারীর নিকট হইতে নামমাত্র মূল্যে ক্রয় করা মোবাইল গুলো অন্যান্য ব্যবসায়ীর মত মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় করে অধিক মুনাফা অর্জন করে। চোর ছিনতাইকারীরা মোবাইল পাওয়ার পর রিয়াজউদ্দিন বাজারে বিক্রয় করতে গেলে আসামীদের নির্দিষ্ট দোকানে বিক্রয় করে। চোর ছিনতাইকারীরা অন্য কোথাও মোবাইল বিক্রয় করতে পারে না।

আসামী দোস্ত মোহাম্মদ মানিক (৫৪) ও পলাতক আসামী মোঃ খোরশেদ আলম (৩৫) আপন মামা-ভাগিনা। তারা উভয়ে আলোচিত রিয়াজউদ্দিন বাজারের চোরাই মোবাইল ক্রয়কারী র‌্যাবের বন্দুকযুদ্ধে নিহত জাহিদুল ইসলাম আলো’র অন্যতম সহযোগী। আলোর মৃত্যুর পর এই চোরাই মোবাইল সিন্ডিকেট তারা আপন মামা-ভাগিনা নিয়ন্ত্রন করে।

১ টি মন্তব্য
  1. Abdul Hai Chuttu বলেছেন

    ক্রসফায়ার দেওয়া হউক।