অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান দুবাইয়ে গ্রেফতার

0
.

রাজধানী ঢাকার বহুল আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় দুবাই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত দেশের গত এক দশকের শীর্ষ ২৩ সন্ত্রাসীর একজন হলো জিসান। তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।

পুলিশ সদর দপ্তরের বাংলাদেশ ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম তার গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত করেছেন।

মহিউল ইসলাম বলেন, গত বুধবার রাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্টারপোল। শিগগিরই তাকে দেশে ফেরত আনার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র তৈরি করা হচ্ছে।

এছাড়া দুবাই কর্তৃপক্ষ তাকে (জিসানকে) যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, দুবাইয়ে গ্রেফতার হওয়ার সময় জিসানের কাছে ভারত ও ডোমেনিকান দুইটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। গ্রেফতারকৃত জিসানের ছবি ঢাকায় পুলিশ সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে। সেই ছবির সঙ্গে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে থাকা জিসানের নতুন ছবির হুবহু মিল রয়েছে। সেই সূত্র ধরে আমরা নিশ্চিত হয়েছি দুবাইয়ে গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তিই জিসান।

উল্লেখ্য, রাজধানীর গুলমান, বনানী, বাড্ডা, মতিঝিলসহ বেশ কিছু অঞ্চলে তার একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করতো সে। ইন্টারপোল তার নামে রেড অ্যালার্ট জারি করে রেখেছে।

ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে জিসান সম্পর্কে বলা আছে, তার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড ঘটানো এবং বিস্ফোরক বহনের অভিযোগ আছে।

২০০৩ সালে মালিবাগের একটি হোটেলে দুজন ডিবি পুলিশকে হত্যার পর আলোচনায় আসে জিসান। এরপরেই গা ঢাকা দেয়। ২০০৫ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মুখে সে দেশ ছাড়ে বলে ধারণা করা হয়।

সূত্র জানায়, সেসময় পালিয়ে ভারতে প্রবেশ করে জিসান। এরপর নিজের নাম পরিবর্তন করে আলী আকবর চৌধুরী নামে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে।

সাম্প্রতিক দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে দুই যুবলীগ নেতা জিকে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটকের পর তার (জিসানের) নাম ফের নতুন করে আলোচনায় আসে। তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা যায়।