অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

দূর্গাপুজা উপলক্ষে সনাতনী ভাইবোনদের বস্ত্রবিতরণ করেন ডা. শাহাদাত

3
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, রাষ্ট্রীয় অশুর বিতাড়নের মাধ্যমে অসম্প্রদায়িক দুর্নীতিমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অসম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশ গড়েছিলেন। হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম ও খৃষ্টান, রাখাইন মারমাইন আমাদের সকলের একটাই পরিচয় আমারা বাংলাদেশী। এই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। শহীদ জিয়া বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের কারণে এই দেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করে রাজনীতিতে একটি দর্শন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। শহীদ জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কারণে সকল রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছিলন।

তিনি ৪ অক্টোবর শুক্রবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে জাতীয়তাবাদী হিন্দু ছাত্রফোরাম’র উদ্যোগে শারদীয় দূর্গা উৎসব উপলক্ষ্যে সনাতনী ভাইবোনদের মাঝে বস্ত্রবিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

এতে ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, আজ দেশে দুর্নীতির উৎসব চলছে। পত্রিকার পাতা খুললেই দুর্নীতি আর দুনীতি। সম্প্রতি চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতির দামে অস্বাভাবিক প্রস্তাব দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এতে দেখা যায় সার্জিক্যাল ক্যাপ ও মার্কস’র দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ৮৪ হাজার টাকা কিন্তু যার সম্ভাব্য বাজার মূল্য ১০০ থেকে ২০০ টাকা। র‌্যাক্সিনের দাম প্রস্তাব করেছে ৮৪ হাজার টাকা। যার বাজার মূল্য ৩০০-৫০০ টাকা। ট্যাস্ট টিউব গ্লাস মেডের মূল্য ৫৬ হাজার টাকা যার বাজার মূল্য ১৫-৫০ টাকা। এছাড়া বালিশের কভারের মূল্য ২৮ হাজার টাকা যার বাজার মূল্য ৫০০-১৫০০ টাকা। এভাবে ১২ ধরনের সরঞ্জামের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এই অবৈধ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এভাবে প্রকল্পের নমে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আওয়ামী নেতাদের পকেটে ঢুকছে। যা এখন একের পর এক আওয়ামী নেতাদের দুর্নীতির চিত্র উন্মেচিত হচ্ছে।

ডা. শাহাদাত আরো বলেন, সরকারের একদলীয় মনোভাবের কারণে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হতে পাচ্ছে না। বেগম খালেদা জিয়া মুক্তির মাধ্যমে এদেশে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ তথ্য ও গবেষণা বিষযক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী বলেন, বিএনপি ক্ষমতা থাকাকালীন সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাধ্যমে এগিয়ে গিয়েছিলো। রোজা-পূজা একসাথে হয়েছিলো। কোন সনাতনী ভাইবোন নির্যাতি হয়নি। এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিশ্বজিৎসহ অসংখ্য হত্যাকান্ড ঘটেছে এবং অনেক সনাতনী ভাইবোন নির্যাতিত হয়েছে। এখনো বিশ্বজিৎ হত্যাকারীদের বিচার হয়নি। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হলে এদেশের মানুষ গণতন্ত্র ফিরে পাবে।

জাতীয়তাবাদী হিন্দু ছাত্র ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি রাজীব ধর তমালের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব চৌধুরী বিল্লুর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, পরিবেশ বিষযক সম্পাদক আমিন মাহমুদ, সালাহ উদ্দিন কায়সার লাভু, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, চকাবাজর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন, নগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, মৎস্যজীবিদলের সভাপতি হাজী নুরুল হক, নগর বিএনপির সদস্য মো. জাকির হোসেন, ইউসুফ সিকদার, নগর স্বোচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুস সালাম নিশাদ, সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম বাবলু, যুবদল নেতা আবদুল জলিল, মো. আনোয়ার, আসাদুর রহমান টিপু, হিন্দু ফোরাম নেতা সঞ্জয় চক্রবর্তী মানিক, পন্ডিত মিঠুন আচার্য্য, বাপ্পি দে, সঞ্জয় ধর, মিথুন দাশ, প্রান্থ ব্যানার্জী, সুমন তালুকদার, রণি দাশ, লিটন নাথ, আশু কান্তি নাথ প্রমুখ। প্রায় ১ হাজার সনাতনী ভাইবোনদের মাঝে শাড়ী লুঙ্গি বিতরণ করা হয়।

৩ মন্তব্য
  1. Forid Hasan বলেছেন

    জনাব শাহাদাত হোসেন, আপনারাই হলেন রাষ্ট্রীয় অশুর।কারণ আপনারাই দেশে সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চেয়েছেন।আমাদের দেশে প্রতিটি ধর্মের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক একটি বন্ধন আছে।কিন্তু সেই বন্ধনকে আপনারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে নষ্ট করার পাইতারা করেছেন।আপনারা সব সময় ধর্ম রাজনীতি করে দেশে মুসলিম এবং অন্যান্য ধর্মের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন

  2. Sadman sakib বলেছেন

    আমি এটা বুঝিনা যেই মানুষটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়নি।বরং বিএনপি’র নোংরা রাজনীতির শিকার হয়ে জীবন দিয়েছেন।তাকে বিএনপি কিভাবে শহীদ বলেন।শাহাদাত হোসেন অসম্প্রদায়িক দুর্নীতিমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে।তার জন্য নিজেদের আগে পরিবর্তন করুন।কারণ আপনারাই দেশের সম্প্রদায়িক, দুর্নীতি, অগণতান্ত্রিক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের রাষ্ট্র তৈরি করেছিলেন

  3. Md Abu বলেছেন

    বিএনপি জামায়াতের সাথে এক হয়ে বাংলাদেশ থেকে হিন্দুদের কে তাড়িয়ে দেওয়ার যে ষড়যন্ত্র করেছে তাতে ব্যর্থ হয়ে এখন তাদেরকে বস্ত্র বিতরণের নামে ভাব দেখাচ্ছে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঠিকই সনাতন ধর্মালম্বীদের কে নিয়ে নোংরা মন্তব্য করে বাংলাদেশের নতুন করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করে যাই এই বিএনপি-জামায়াত নেতারা।