অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ভারতের সাথে দেশবিরোধী চুক্তির প্রতিবাদ করায় বুয়েট শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা

3
.

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলের ভেতর থেকে আবরার ফাহাদ (২১) নামের এক ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিবির সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সোমবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি শেরেবাংলা ছাত্র হোস্টেলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন। ফাহাদ কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামের বরকত উল্লাহ ছেলে।

.

বুয়েটের দায়িত্বরত চিকিৎসক মাসুক এলাহী বলেন, ‘রাতে আমি ডিউটিতে ছিলাম। রাত ৩টার দিকে ছাত্রদের মাধ্যমে খবর পেয়ে শেরেবাংলা হলের ১ম ও ২য় তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদকে পড়ে থাকতে দেখি। তখন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’

চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, রাতে বুয়েট কর্তৃপক্ষর মাধ্যমে খবর পেয়ে শেরেবাংলা হল থেকে ওই ছাত্রর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে এসআই দেলোয়ার বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে শিবির সদস্য অভিযোগে তাকে পেটানো হয়েছিল এরকম কিছুটা শুনতে পেরেছি।’

বুয়েট শিক্ষার্থীরা জানায়,সম্প্রতি ভারতের সাথে প্রধানমন্ত্রীর দেশ বিরোধী চুক্তির প্রতিবাদ করে ফেজবুকে পোষ্ট দেয়ার কারনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করে।

৩ মন্তব্য
  1. Ad M A Dulal বলেছেন

    আমরা ক্ষুব্ধ ও শোকার্ত এবং তীব্র প্রতিবাদ সহ দোষীদের বিচারের জন্য দাবী জানাচ্ছি।

  2. Md Firoj বলেছেন

    অপরাজনীতির জন্য সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।

  3. Lrm Rahman বলেছেন

    ছাত্রলীগের কেডাররা একজন নিরিহ ছাত্র কে এভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হত্যা করতে পারেনা। শিবির সন্দেহ করে তাহকে হত্যা করার মতো যগইন্যে অপরাধ করেচে ছাত্রলীগ। কি মনে শিবির কি এদেশের সন্তান নয়। তারা ভেষে আসেনাই। তারা আললাহ এবং রাসুলুল্লাহ সাঃ অনুসরন করে তাহা কি অপরাধ মানভঅতা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। ভালো মানুষ গড়তে শিক্ষা দেওয়া হয় আর ঐ যায়গায় পশুরত্বের আচরন কি করে মেনেনেওয়া যায়। সরকারি দলের চাত্র সংঙ্গোঠণ অপরাধের চোড়ান্তো শিমা লংঙ্গণ করেই যাচেচ। সব ছাত্র সংগঠন একতৃথ হয়ে এদেরকে প্রথিরুধ না করতে পারলে আরও কত নিরঅপরাধ ছাত্রদের হত্যা করবে।