অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সীতাকুণ্ডে ইউনিয়ন আ’লীগের বর্ধিত সভায় মারামারি, আহত ৬ঃ সভা পন্ড

0
আহত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল সিরাজী।

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় দুই পক্ষের হাতাহাতি মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার বারৈয়াঢালা ইউনিয়নে ছোট দারোগারহাট এলাকার বর্ধিত সভাস্থলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় বারৈয়াঢালা ইউনিয়নে দুই পক্ষের হাতাহাতিতে উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৬জন আহত হয়েছে। এতে সভাটি পন্ড হয়ে যায়।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,পূর্ব নির্ধারিত অনুসারে প্রতিটি ইউনিয়নে মত বিশেষ বর্ধিত সভার দিনক্ষণ ঠিক বারৈয়াঢালা ইউনিয়নেরও। জেলা নেতার উপস্থিতিকে বর্ধিত সভাও শুরু হয়।  সভা শুরু কিছু সময় পর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নতুন ও পুরনো কমিটি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও মারামারি রূপ নেয়। এ সময় বাইরে থাকা লোকজন অতর্কিত বর্ধিত সভায় ডুকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৬ জনকে পিঠিয়ে গুরুতর আহত করে।

আহতরা হলেন- উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ মিয়া, বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন আ,লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল সিরাজী, উপজেলা নেতা নজরুল ইসলাম, আবুল কালাম চৌধুরী, হান্নান ভূঁইয়াসহ ৬জন নেতা-কর্মী।

পরে তাদেরকে উদ্ধার সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। আহতদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল সিরাজির অবস্থা আশংকাজক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।

অন্যদিকে একই দিন বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়ায় সভাটি মুলতরি ঘোষণা করেন।

এছাড়া সীতাকুণ্ড পৌরসভাসহ ৭টি ইউনিয়নে বর্ধিত সভা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার বিকালে উপজেলার ইউনিয়ন ও পৌরসভা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাগুলোতে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা সিনিয়র নেতাদের বিভক্তির কারণে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন আওয়ালীগের আহবায়ক কমিটির পাশাপাশি অপর একটি কমিটিও রয়েছে। বাড়বকুণ্ড হাই স্কুল মিলনায়তনে বর্ধিত সভা শুরু হলে উভয় কমিটি নিজেদেরকে বৈধ কমিটি হিসেবে দাবী করায় ওয়ার্ড কমিটির গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে মত বিরোধ দেখা দেয়। সভায় জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক মহিউদ্দিন বাবলু এবং জেলা আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ভবতোষ নাথ সমন্বয়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উভয় গ্রুপের নেতাদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় তারা সভাটি কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই মুলতবি ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক ও বারৈয়াঢালা ইউপি চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিন রেহান বলেন,‘উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা সাঈদ মিয়ার নেতৃত্বে কিছু যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ বর্ধিত সভা চলাকালীন সময়ে জেলা নেতাদের উপস্থিতিতে সভায় হামলা চালায়। হামলায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৬ জন আওয়ামীলীগ নেতা গুরুতর আহত হয়েছে।’

চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো.আলাউদ্দিন সাবেরি বলেন,‘পুরনো ওয়ার্ড কমিটির লোকজন বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল সিরাজির উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তবে আমরা চেয়েছিলাম উভয় পক্ষকে সাথে নিয়ে বর্ধিত সভা সফল করবো। কিন্তু অতর্কিত হামলার কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি।