অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রাম বন্দরে চালু হচ্ছে ঈগলরেল: আমেরিকান প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন

0
.

চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ‘ঈগলরেল ওভারহেড কনভিয়ান্স সিস্টেম’ শীঘ্রই চালু হচ্ছে। এ লক্ষ্যে আমেরিকান প্রতিষ্ঠান ঈগলরেল কনটেইনার লজেস্টিকস (ইউএসএ) এর সাথে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনের এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

.

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষে বন্দর চেয়ারম্যন রিয়ার এডমিরাল কমডোর জুলফিকার আজিজ, (ই), পিএসসি, বিএন, এবং আমেরিকান প্রতিষ্ঠান ঈগলরেল কনটেইনার লজেস্টিকস (ইউএসএ) পক্ষে Mr. Mike Wychocki চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এর জন্য এটি একটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি,এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কনটেইনার মুভমেন্টের পরিমাণ অন্তত ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

জাহাজের হুক পয়েন্ট থেকে ডেলিভারি পয়েন্টে কিংবা রিসিভিং পয়েন্ট থেকে জাহাজের হুক পয়েন্টে ঈগল রেলের সাহায্যে কনটেইনার আনা-নেওয়ার ব্যবস্থা করা গেলে বন্দরের অভ্যন্তরে কোনো গাড়ি ব্যবহারের প্রয়োজন পড়বে না।

.

বন্দর কর্তৃপক্ষসুত্রে জানাগেছে,  বর্তমানে কনটেইনার ও কার্গো পরিবহনের কাজে বন্দরে প্রতিদিন পাঁচ হাজারের বেশি ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, কনটেইনার মুভারসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি প্রবেশ করছে। এসব অতিরিক্ত গাড়ির কারণে বিমানবন্দর সড়কসমেত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। যার প্রভাব পড়ে পণ্য পরিবহনসহ নাগরিক জীবনযাত্রায়। ‘ঈগলরেল ওভারহেড কনভিয়ান্স সিস্টেম’ ব্যবস্থা চালু হলে পণ্য সরবরাহে গতি আসার পাশাপাশি বন্দরকেন্দ্রিক যানজট নিরসন হবে।

প্রকল্প বাস্তবায়কারী সংস্থা সুত্রে জানাগেছে, চুক্তি স্বাক্ষরের আগে ঈগলরেল কনটেইনার লজেস্টিকস (ইউএসএ) শীর্ষ কর্মকর্তারা এরই মধ্যে দুই দফা চট্টগ্রাম বন্দর পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারা এই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সমীক্ষাও সম্পন্ন করেছেন। দ্বিপাক্ষিক চুক্তি শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈগলরেল চালুর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমেরিকান এই কোম্পানি বিশ্বের উন্নত দেশের বন্দরগুলোতেও এ প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে। প্রযুক্তিটি ক্যাবল কারের মতো। ভূমি থেকে অন্তত চল্লিশ ফুট ওপরে স্টিল কাঠামোয় ট্র্যাক তৈরি করা হয়। রেললাইনে ট্রেন চলে ট্র্যাকের উপর দিয়ে। কিন্তু ঈগলরেলে নিচের দিকে কনটেইনার ঝুলতে থাকে। ক্যাবল কারের মতো ঈগলরেল কনটেইনারটি টেনে নিয়ে গিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে খালাস করবে।

.

অনুষ্ঠানে বস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ঈগলরেল কনটেইনার লজেস্টিকস (ইউএসএ) পক্ষে উপস্থিত ছিলেন-Mr. Scott Harper, Mrs. Sania Irwin, মাসুদ জামিল খান, এম সামায়াল।

চট্টগ্রাম বন্দরের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বন্দরের, যুগ্ন সচিব, সদস্য (এডমিন ও প্লানিং), জাফর আলম, পরিচালক (প্রসাশন) মামুনুর রশিদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আমিনুল ইসলাম, প্রধান অর্থ ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, পরিকল্পনা প্রধান মাহবুব মোর্শেদ চৌধুরী, পরিচালক (পরিবহণ) এনামুল করিম, উপ-প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মির্জা রাকিবুল ইসলাম, প্লান্ট ম্যানেজার হাবিবুল্লাহ আজিম,

 অথরাইজড অফিসার গৌতম বাড়ৈ,  প্রধান প্রকৌশলী (পুর) মাহমুদুল হোসেন চৌধুরী ,উপ সচিব (সমন্বয়) আজিজুল মওলা।

বন্দর সুত্রে জানাগেছে, প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রাম বন্দররের এনসিটি ইয়ার্ড  থেকে ওভার ফ্লু ইয়ার্ড পর্যন্ত ঈগলরেলের দুইটি ট্র্যাক স্থাপনের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। ঈগলরেলের মাধ্যমে ঘন্টায় কমপক্ষে তিন’শ টিইইউ কনটেইনার মুভমেন্ট সম্ভব হবে।