মহানবীকে নিয়ে কটুক্তি : জনতার মিছিলে পুলিশের গুলি,নিহত-৪
ভোলায় হিন্দু ধর্মালম্বী এক ব্যক্তির আল্লাহ ও রাসুল (স.)কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে সাধারণ মুসুল্লিদের ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
প্রশাসন নিশ্চিত করতে না পারলেও স্থানীয়ভাবে নিহতদের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- বোরহানউদ্দিন পলিটেক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাহীন (২১) ও স্থানীয় কওমী মাদ্রার ছাত্র মাহবুব পাটোয়ারী (১৬) গনি, মিজান ।
এই ঘটনায় পুলিশসহ আহত শতাধিক বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আহত পুলিশকে হাসপাতালে নিলেও সাধারণ মানুষ বিভিন্ন ঘরে আটকা পড়েছেন। এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামেগঞ্জেও। গুরুতর গুলিবিদ্ধ ৮ জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিপ্লব চন্দ্রের ফেসবুক আইডি থেকে তার বন্ধু তালিকার বেশ কয়েকজনের কাছে আল্লাহ এবং রাসুল (সঃ) কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালির ম্যাসেজ আসে।
বিপ্লব চন্দ্র শুভ বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চন্দ্র মোহন বৈদ্দের ছেলের আইডি থেকে এই ম্যাসেজ আসাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মুসুল্লিদের ব্যানারে আজ সকাল ১০টায় বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়। সকাল থেকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার গ্রামগঞ্জ থেকে মুসুল্লিরা শহর অভিমুখে আসতে থাকে। এতে ভোলার পুলিশ সুপার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ মোতায়েন করেন। পুলিশ সভা সংক্ষিপ্ত করার জন্য নির্দেশ দেয়ার পরপরেই সংঘর্ষের শুরু হয়। প্রথমে এক পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুঁড়লে পুলিশের গুলিতে পথচারিসহ বিক্ষোভকারী আহত হন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভোলা শহর পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গ্রামগঞ্জে বিক্ষোভ চলমান। ভোলা সদর পুলিশ লাইন্স থেকে অতিরিক্ত পুলি ডেকে পাঠানো হয়েছে।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর বারবার কাফেরেরা আক্রমণ করার পরও তিনি সকল নির্যাতন সহ্য করে চুপ থাকতেন। কিন্তু গত পরশু ফেসবুকে নবীকে কটুক্তি করে যে মন্তব্য করা হয়েছে তার জন্য এই ধরনের বর্বর আন্দোলন ও হামলার কোন দরকার ছিল না। যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযুক্তকে সাথে হাতে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং পুলিশের রিমান্ডের সে প্রমান সহ স্বীকার করেছে তার আইডি হ্যাক করা হয়েছে এবং তার কাছ থেকে বিভিন্নভাবে টাকা চাওয়া হয়েছে। তাই এই ঘটনাকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য সাধারণ মুসল্লিদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে জামায়াত-শিবিরের ঢুকে গিয়ে পুলিশের ওপর বোমা হামলা চালানো ঠিক হয়নি।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম এর বিরুদ্ধে যে কুমন্তব্যগুলো করা হয়েছে তা সত্যিই কষ্টদায়ক। কিন্তু যে আইডি থেকে করা হয়েছে তাকে গ্রেফতার করার পরও কিভাবে আপনারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের নামে থানায় পুলিশের উপর আক্রমণ চালালেন। সাধারণ মুসলমানদের আন্দোলনে জামায়াত-শিবির ঢুকে পড়ে এ আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য থানা ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর আক্রমণ করে, তাই পুলিশ বাধ্য হয়ে আত্মরক্ষার্থে ধাওয়া চালায় এতে দুইজন নিহত সহ প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়।