পেঁয়াজের কেজি আবারও ১২০ টাকা!
আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের মূল্য। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির কেজিপ্রতি মূল্য বেড়েছে ২০ টাকা। এখন প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়।
এর আগে, গত সপ্তাহে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৯৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মানিক নগর বাজার, মগবাজার, সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
অবশ্য সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা প্রতিকেজি পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে ২০ টাকা। আর দেশি পেঁয়াজে বেড়েছে ১০ টাকা। কারওয়ান বাজার, মানিকদী বাজার, মালিবাগ, কচুক্ষেত বাজার, রামপুরা বাজার, মহাখালী বাজার, আজমপুর বাজার ও উত্তরা বাজারের তথ্য সংগ্রহ করে টিসিবি বলছে, শুক্রবার বাজারগুলোয় আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১৫ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকায়।
টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, গত সপ্তাহে (১৮ অক্টোবর) আগের সপ্তাহের (১১ অক্টোবর) তুলনায় আমদানি করা পেঁয়াজ কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। একইভাবে ওই সপ্তাহেও দেশি পেঁয়াজ কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা।
টিসিবি বলছে, গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯৫ টাকায়। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ২৫ অক্টোবর অর্থাৎ এক বছর আগে খুচরা বাজারে এই পেঁয়াজের মূল্য ছিল মাত্র ২৫ টাকা।
পেঁয়াজের বাজার অচিরেই স্বাভাবিক হবে বলে মনে করেন টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, ‘নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসলে এমনিতেই বাজার স্বাভাবিক হবে।’
পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ চেষ্টা চলছে বলেও হুমায়ুন কবির উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঢাকা মহানগরীর প্রতিদিন ৩৫ জায়গায় ট্রাকে করে ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে।’
এদিকে, রাজধানীর বাজারগুলোতে শীতের সবজির মূল্য নতুন করে না বাড়লেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের মূল্য বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের মূল্য বেড়েছে। বৃষ্টি না থামলে মূল্য আরও বাড়তে পারে বলেও ধারণা তাদের। মানিক নগর পুকুর পাড় কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী আবদুর রহমান বলেন, ‘আজ ১২০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের মূল্য বেড়েছে। ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫-২০ টাকা।’
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, শিমের পাশাপাশি কিছুটা মূল্য কমেছে কপির মূল্য। ছোট আকারের ফুলকপি মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২৫ টাকায়। বাঁধাকপি বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। মুলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। প্রতিকেজি করলা, ঝিঙে, পটল, ঢেঁড়শ, ধুন্দুল বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। আর বরবটি ও বেগুন বিক্রি হয়েছে আগের সপ্তাহের মতোই ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। পাকা টমেটো আগের সপ্তাহের মতো প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা। গাজর বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ১০০ টাকা।
এদিকে, রুই মাছ বিক্রি হয়েছে ২৫০-৩৬০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৬০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ ১২০-১৫০ টাকা, শিং ৪০০-৬০০ টাকা, কাচকি ২৫০-৩৫০ টাকা, পাবদা ৪০০-৬০০ টাকা, ট্যাংরা ৫৫০-৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।
বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৫৫০ থেকে ৫৭০ টাকা, খাসি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১২০-১৪০ টাকা, লেয়ার ১৮০-২০০ টাকা, পাকিস্তানি কক ২৫০-২৭০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৪-৪০ টাকা হালি।
কোথায় ভ্রম্যমান আদালত?? চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনি, সোজা জেলে পুরে দেন দেখবেন ফল পেয়েছেন,,
ব্যাপার না এটা ডিজিটাল বাংলাদেশ।বাংলাদেশ