১০ ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
ঢাকা-সিলেটগামী পারাবত ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়ে আগুন লাগার ঘটনার ১০ ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের সঙ্গে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিভাগীয় প্রধান কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানকে প্রধান করে শুক্রবার রাতে চার সদস্য বিশিষ্ট এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশন মাস্টার মোয়াজ্জুল হকএ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলার মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া রেল স্টেশনের কাছে শুক্রবার সকাল ১০টায় ঢাকা থেকে সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ও ৩টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনায় সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) রুহুল আকতার খান জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দুঘর্টনাকবলিত বগি উদ্ধার করা হয়। পরে রাত ৮টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে, পারাবত ট্রেনের বগি লাইনচ্যুতের ঘটনায় ঢাকাগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস শায়েস্তাগঞ্জ, চট্রগ্রামগামী পাহাড়িকা ট্রেন শ্রীমঙ্গল, সিলেটগামী জয়ন্তিকা ট্রেন আজমপুর ও সিলেটগামী পাহাড়িকা ট্রেন আখাউড়া স্টেশনে আটকা পড়ে। এতে ট্রেন যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
শুক্রবার সকালে সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ও ৩টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে আগুন ধরে যাওয়ার পর খবর পেয়ে মাধবপুর ও শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আখাউড়া থেকে রিলিফ ট্রেন এসে দুপুর ১২টায় উদ্ধারকাজ শুরু করে। তবে উদ্ধারকাজ শেষ করে রেল চলাচল স্বাভাবিক করতে রাত ৮টা বেজে যায়।
ট্রেনের চালক আবুল কালাম জানান, পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনটির ইঞ্জিন ও ৩টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় ইঞ্জিনে আগুন লেগে তা পুড়ে যায়। পরে আরো ৩টি বগিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে অন্তত ২৫ যাত্রী আহত হন। আহতদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান।