অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

অযৌক্তিক ও অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি-ক্যাবের

0
.

সড়ক পরিবহন আইন সম্পর্কে বিভ্রান্তি ও গুজব ছড়িয়ে পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে ভীতি সঞ্চার ও পরবর্তীতে অঘোষিত ভাবে দেশব্যাপী পরিবহন ধর্মঘট ডেকে দেশকে অচল করার ষড়যন্ত্রের এবং সড়ক-মহাসড়কে যান চলাচলে প্রকাশ্যে বাধা প্রদান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্ঠি করে দেশে গণপরিবহন সেক্টরে অরাজকতা সৃষ্ঠিতে উস্কানী প্রদানের জন্য অযৌক্তিক ও অঘোষিত গণপরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষনকারী প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

একই সাথে তারা এ ধরনের রাস্ট্র বিরোধী ককর্মকান্ডে জড়িতদের কঠিন ও দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তি দাবি করেছেন।

আজ ২০ নভেম্বর সংবাদপত্রে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান এই দাবি জানান।

বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেছেন চিহ্নিত স্বার্থান্বেষী মহল গণপরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য সৃষ্টি, নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদবাজি অব্যাহত রাখতে দেশবাসীকে জিম্মিকরে বারবার এ ধরণের ষডযন্ত্রমুলক কাজে জড়িত হলেও সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এই মহলটি জনগণের বহুল প্রত্যাশিত নতুন সড়ক পরিবহন আইন সম্পর্কে বিভ্রান্তি ও গুজব ছড়িয়ে আইন বাস্তাবায়নে বাধা দিচ্ছে। এই মহলটি গণপরিবহন সেক্টরে চাদাঁবাজি, নৈরাজ্য সৃষ্ঠিতে দীর্ঘদিন ধরে অপকর্ম হাছিল করে আসছিল। নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়িত হলে তাদের সেই অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ হওয়ার আশংকায় নতুন ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে এই অবৈধ ঘর্মঘট ও কর্মবিরতি আহবান করেছে।

বিবৃতিতে আরও নেতৃবৃন্দ আরও বলেন গণপরিবহন মালিক ও শ্রমিকদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে অত্যুধিক প্রণোদনা দেবার কারনে তাঁরা বারবার জনগনকে জিম্মি করে এ ধরনের অবৈধ ধর্মঘট ও কর্মবিরতি আহবানসহ আইন প্রয়োগে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে বারবার বাঁধা দিলেও সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পুরস্কার হিসাবে তাদেরকে মন্ত্রী, এমপি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা বানাচ্ছে আর এ খাতে অন্যতম অংশীজন ভোক্তারা কোন প্রণোদনাতো দূরের কথা আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির সদস্যও হতে পারছে না। ফলে সড়কে নৈরাজ্য থামছে না। সড়ক পরিবহন খাতে যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহনের বেলায় পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরাই মিলে তাদের মতো করে যাবতীয় নীতি প্রণয়ন ও সবগুলি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারন জনগনকে। বিএরআটিএ ও ট্রাফিক পুলিশের কাছে কোন অভিযোগ করে প্রতিকার পাওয়া কঠিন, কারন সবকিছুর ওপর পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরাই সবকিছুর ওপর রাজত্ব করছে। সড়ক পরিবহন খাতে নৈরাজ্য থামাতে হলে ভোক্তা ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সম অংশগ্রহন নিশ্চিত জরুরী।