অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ঢাকা মহানগর আ.লীগে নতুন নেতৃত্ব: উত্তরে বজলু-কচি, দক্ষিণে মান্নাফি-হুমায়ুন

0
.

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ দুই শাখা ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতৃত্ব ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরের সভাপতি হিসেবে শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক পদে এস এ মান্নান কচি নির্বাচিত হয়েছেন। অপরদিকে দক্ষিণের সভাপ‌তি হিসেবে আবু আহাম্মদ মোহাম্মদ মান্নাফি ও সাধারণ সম্পাদক পদে হুমায়ুন কবির নির্বাচিত হয়েছেন।

উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান গত কমিটির সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দক্ষিণের সভাপ‌তি আবু আহাম্মদ মোহাম্মদ মান্নাফি ও সাধারণ সম্পাদক হুামায়ুন কবির দুজনই বিগত কমিটির সহসভাপতি ছিলেন।

আজ শ‌নিবার বিকেল ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উত্তর ও দ‌ক্ষিণ শাখার সম্মেলনের কাউন্সিলর অধিবেশনে নতুন নেতাদের নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় দল‌টির জ্যেষ্ঠ নেতারা উপ‌স্থিত ছিলেন।

এর আগে আজ সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনা। এই সম্মেলন থেকেই আগামী তিন বছরের জন্য নগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব ঘোষণা করা হলো।

কমিটি ঘোষণার সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকা মহানগর উত্তরে সভাপতি পদে আটজন ও সাধারণ সম্পাদক পদে নয়জনের নাম প্রস্তাব হয়। অপরদিকে দক্ষিণে সভাপতি পদে ১০ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৩ জনের নাম প্রস্তাব হয়।’

সমঝোতার জন্য তাদের ১০ মিনিট সময় দেওয়া হয় জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কিন্তু সমঝোতা না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর নির্দেশে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি ও দক্ষিণে সভাপ‌তি আবু আহাম্মদ মোহাম্মদ মান্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির নির্বাচিত করা হয়েছে। আশরা আশা করি, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর এই সিদ্ধান্ত আপনারা মেনে নেবেন।’

ক্যাসিনোকাণ্ডে খড়গ নেমে আসার পর যুবলীগের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আরো তিনটি সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের তারিখ একসঙ্গে ঘোষণা করা হয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। এর সঙ্গে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগেরও সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।

সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, ৪৫টি থানা এবং ১০০টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

তখন ঢাকা মহানগর উত্তরে আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয় এ কে এম রহমতুল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয় সাদেক খানকে। দক্ষিণের সভাপতি হন আবুল হাসনাত ও সাধারণ সম্পাদক হন শাহে আলম মুরাদ।