অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

৫০ বছর পর খুঁজে পাওয়া সড়ক মুক্তিযোদ্ধার নামে নামকরণ

0
.

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

জেলার হাটহাজারী পৌরসভার ফটিকা গ্রামের পশু হাসপাতাল সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত সড়কের খোঁজ পেয়ে সেটাকে পরিপূর্ণ সড়কে রুপান্তরিত করলেন ইউএনও মোঃ রুহুল আমীন। প্রায় ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পরিত্যক্ত ও বেদখলে থাকার পর সেটাকে উদ্ধার করে সড়কে পরিণত করার পর একজন মুক্তিযোদ্ধার নামে নামকরণ করা হয়েছে।

জানা যায়, সরকারী খাস খতিয়ানভুক্ত সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়নরা দখল করে জঙ্গলে পরিণত করে রেখেছিল। ইউএনও ও পৌর প্রশাসক মোঃ রুহুল আমীন হঠাৎ করেই সড়কটির খোঁজ পান। গত চার মাস ধরে পৌর প্রশাসকের অব্যাহত চেষ্টায় সেটি পরিপূর্ণ সড়কে রুপ লাভ করে। মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম কমান্ডারের নামে সড়কটির নাম করণ করা হয়। গত রবিবার সকাল ১০টায় হাটহাজারীর মুক্তিযোদ্ধাগণ সড়কটি উদ্বোধন করেন।

সড়কটি উদ্বোধন কালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ নুরুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিক, খাইরুল বশর, দিদারুল আলম, জয়নাল আবেদীন, কাজী ইকবাল, মোঃ ইদ্রীস, মোঃ মনির, কামাল উদ্দীন, ইউসুফ মাস্টার, আব্দুল মান্নান, পৌর প্রকৌশলী বেলাল আহম্মদ খাঁন, ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আকতার কামাল চৌধুরী, পৌর সহায়ক কমিটি’র সদস্য সাঈদুল হক খোকন প্রমূখ।

ইউএনও রুহুল আমীন বলেন, গালর্স স্কুল ও পশু হাসপাতাল সংযোগ সড়কটি ফটিকা মৌজার ম্যাপে ১নং খতিয়ানের বিএস ১৩১৩৩ দাগের ১৭ শতকই ছিল সরকারী রাস্তা। বাস্তবে সরকারি রাস্তাটি অর্ধ শতকের বেশী সময় ধরে বেদখলে ও জঙ্গলে ভরা ছিল। অবশেষে অনেক চেষ্টার পর রাস্তাটি উদ্ধার করে বীর মুক্তিযোদ্ধার নুরুল আলমের নামে রাস্তাটি নাম করণ করা হয়েছে।

আজ আমাদের বিজয়ের মাসের প্রথম দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ এই সড়কটি উদ্ধোধন করেন। তিনি আরো বলেন, সড়কটি মুক্তিযোদ্ধারা উদ্বোধন করায় আমি গর্ববোধ করছি। মুক্তিযোদ্ধারা না থাকলেও ভবিষ্যৎ প্রজন্মরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ও তাদের সম্পর্কে জানবে।