অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

হাটহাজারীতে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো তিন দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা

0
.

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত জোড় ইজতেমা রবিবার (৮ ডিসেম্বর) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।

ঈমান, তালিম, দাওয়াতী কাজ, ইসলামী শিক্ষা, আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালের মুক্তির প্রত্যাশায় হেদায়াতি বয়ান শেষে মসজিদ ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় অন্তরে ধারণ করে আখেরি মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব, সুখ-সমৃদ্ধি, বিশ্বশান্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়।

গত শুক্রবার হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া গ্রামে শুরু হওয়া দেশের ১৬টি জেলার মুসল্লীদের অংশগ্রহণে তিনদিন ব্যাপী জোড় ইজতেমার সমাপনী দিনে রবিবার ফজরের নামাযের পর থেকে লাখো মুসল্লি আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমাস্থলে জড়ো হতে থাকে। ইজতেমা ময়দানের আশেপাশের বাড়িঘরের আঙ্গিনায় বিপুল সংখ্যক মহিলারাও আখেরি মোনাজাতে অংশ গ্রহন করেন।

সকাল সাড়ে ১০টায় আখেরি মোনাজাত শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আখেরি মোনাজাতের অংশ নিতে আসা মানুষের ঢল দেখে তা প্রায় ৩ ঘণ্টা পর দুপুর ১২টা ৩৯ মিনিটে শুরু হয়।

মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মারকাজ মসজিদের খতিব আল্লামা হাফেজ জুবাইর আহমদ। এ সময় লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লির “আমিন, আমিন ধ্বনিতে” মুখরিত হয়ে ওঠে হাটহাজারীর চারিয়া গ্রামসহ আশপাশের এলাকা। মহান আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে কেঁদে কেঁদে নিজেদের পাপমোচনে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন আখেরি মোনাজোতে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা। একই সঙ্গে ইসলামের আলোকে নিজেদের জীবন গঠন এবং সেভাবে জীবনযাপনে আল্লাহর সাহায্য কামনা করেন।

এ সময় ইজতেমার ময়দান ও আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে লাগানো মাইকে অনেক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি বাসা-বাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে যে যার মতো করে মোনাজাতে শরিক হন। আখেরী মোনাজাতে সাবেক মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত মোহাম্মদ রুহুল আমিন, হাটহাজারী থানার ওসি মোঃ মাসুদ আলমসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।