অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

রোহিঙ্গা গণহত্যা: আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিচার শুরু

0
.

.

গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে শুনানি শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার। পুরো রায় পেতে দীর্ঘ সময় লাগলেও দেশটির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী রায়ের আবেদন জানিয়েছে বাদী গাম্বিয়া। বিচারিক কার্যক্রমে বাংলাদেশ নেপথ্যে সহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, রায়ের ফলে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়া সুগম হবে।

রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চালানো নির্যাতনকে আগেই জাতিগত নিধন বলে আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ। এ ইস্যুতে বাংলাদেশ ক্রমাগত আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানোর কথা বললেও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদসহ সব পর্ষদে সে চেষ্টা আপাত দৃষ্টিতে সফল হয়নি।

তবে পরিস্থিতি পাল্টেছে আন্তর্জাতিক আদালতে ও আইসিভুক্ত দেশগুলোর পক্ষে গাম্বিয়ার অভিযোগ দায়েরের পর। গণহত্যার অভিযোগে কাঠগড়ায় এখন সূচি সরকার। নেদারল্যান্ডসের হেগে বিচারের প্রথম দিনে অভিযোগের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করবে গাম্বিয়া। দ্বিতীয় দিন মিয়ানমারের পক্ষে যুক্তিখণ্ডন করবেন স্বয়ং দেশটির স্ট্যাট কাউন্সিলর অং সান সূচি। পরের দিন দু’পক্ষই একসঙ্গে অংশ নেবে শুনানিতে।

বিচার পর্যবেক্ষণে পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে ইতোমধ্যে নেদারল্যান্ডস গেছে বাংলাদেশের ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। তথ্য প্রমাণাদি এবং জনমত গঠন করে গাম্বিয়াকে সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে গাম্বিয়া। আদালতে বিষয়টির লড়াইও করবে তাদের প্রতিনিধি। এ বিষয়ে আমাদের যতটুকু পদক্ষেপ নেয়ার তা নেয়া হয়েছে।

এ ধরনের বিচারের রায় পেতে দীর্ঘ সময় লাগে বলে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় অন্তর্বর্তী আদেশ চেয়েছে গাম্বিয়া। এ আদেশ পাওয়া গেলে রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে আগ্রহী হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।