অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে দেশে শান্তি আসবে না-নোমান

0
.

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে দেশে শান্তি আসবে না উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন- বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংবিধান রক্ষা এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে কারাবন্ধি বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তার জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বোপরী মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানর আমাদের সর্বদলীয় জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা ছাড়া বিকল্প নাই।

তিনি আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ের মাঠে কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপাসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহবান জানান।

নোমান বলেন, এদেশে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন রক্তের ফিনকি দিয়ে জনতার বিজয় এসেছে এবং স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। দেশের গণতন্ত্রের প্রতি বার বার আঘাত এসেছে তাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে হবে স্বৈরাচারেরপৈতন ঘটাতে হবে।

তিনি বলেন, শাসনতন্ত্রে জনগণের যে কর্তৃত্ব আছে তা জনগণ ভোগ করতে পারছে না। আমরা একটি কর্তৃত্ববাদী সরকার পেয়েছি। এই সরকার আমাদের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা
সেই অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করছি। জনগণের মধ্যে একটি উচ্ছাস সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যক্তির পিছনে না ঘুরে আদর্শ ও রাজনীতির পিছনে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সমাবেশের মধ্যে না থেকে মিছিলের দিকে যেতে হবে। আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি চলমান আন্দোলন বেগবান করতে নেতাকর্মীদের মানষিকভাবে তৈরী থাকার জন্য আহবান জানান।

.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ডা. শাহাদাত প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের সুত্র ধরে বলেন- দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যদি কারাগারে রাজার হালে থাকেন তাহলে সে আমার আয়াশের জন্য আপনি (প্রধানমন্ত্রী)ও তৈরী থাকুন আপনিও জেলে রাজার হালে থাকবেন। তিনি বলেন, আগামী ১২ ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের তারিখ রয়েছে। সেদিন যেন কোন ধরণের ছলছাতুরী না করে বেগম জিয়াকে যেন মুক্তি দেয়া হয় তার জন্য বিচার বিভাগের প্রতি আহবান জানান।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আইনী প্রক্রিয়ায় বিএনপি যখন সর্বোচ্চ আদালতের কাছে গিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদন নিয়ে কোর্টে যাচ্ছে বার বার, কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকার নানা টালবাহানা করে আইন আদালতকে ব্যবহার করে খালেদা জিয়ার জামিন প্রদানে বাধা গ্রস্ত করছে। যা দেশের মানুষ বুঝে গেছে। সরকার আর বেশি দিন এভাবে তাদের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারবে না। ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতা জিয়াউর রহমানকে বািন্দদশা থেকে মুক্ত করেছেন ঠিক তেমনিভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে মানুষ রাজপথে নেমে মুক্ত করে আনবে।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন।

মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, সামশুল আলম, এড. আবদুস সাত্তার, এস কে খোদ তোতন, আশ্রাফ চৌধুরী, সৈয়দ আহমদ, এস এম আবু ফয়েজ, জাহিদুল করিম কচি, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, কাউন্সিলর আবুল হাশেম, শাহেদ বক্স, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, সম্পাদকবৃন্দ শেখ নুরুল্লাহ বাহার, ফাতেমা বাদশা, হামিদ হোসেন, নুরুল আকতার, ডা. এস এম সরওয়ার আলম, হেলাল চৌধুরী, আবদুন নবী প্রিন্স, আবদুল বাতেন, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, আবদুস সাত্তার সেলিম, নগর বিএনপির সহসম্পাদকবৃন্দ আবদুল হালিম স্বপন, মো. ইদ্রিস আলী, খোরশেদ আলম কুতুবী, মো. শাহজাহান, রেহান উদ্দিন প্রধান, রনজিত বড়ুয়া, জেলী চৌধুরী, আজাদ বাঙালী, আরিফ মেহেদী, আবু মুসা, শফিক
আহমদ, আবুল খায়ের মেম্বার, মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, আলী আজম, সালাহ উদ্দিন লাতু, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ জাকির হোসেন, মো. শাহাব উদ্দিন, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী মাঈনু, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, নগর সদস্য ইউসুফ সিকদার, আলী ইউসুফ, কাউন্সিলর জেসমিনা খানম,
রেজিয়া বেগম মুন্নি, শাহেদা বেগম, সখিনা বেগম, আখি সুলতানা, বুলবুল আহমেদ, হামিদুর রহমান, হাজী নুরুল হক, মনিরুজ্জামান টিটু, শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, এড. আবদুল আজিজ, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, নবাব খান, এস এম মফিজ উল­াহ, কাজী সামশুল আলম, খন্দকার নুরুল ইসলাম, শরীফুল
ইসলাম, আলী আব্বাস খান, , মো. হারুন, মো. আজম উদ্দিন, মনজুর আলম মঞ্জু, আলাউদ্দিন আলী নূর, ফারুক আহমেদ, হুমায়ুন কবীর সোহেল, শায়েস্তা উল­াহ চৌধুরী, মো. রফিক চৌধুরী, রাসেল পারভেজ সুজন, মোশারফ জামাল, এস এম ফরিদুল আলম, জাহিদ মাস্টার, খাজা আলা উদ্দিন, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, জাহিদ উল­াহ রাশেদ, আশ্রাফ খান, আবু ফয়েজ, মো. হাসান, সৈয়দ আবুল বশর, ফরিদুল আলম চৌধুরী, হাজী মো. এমরান, মো. জসিম মিয়া, এস এম আজাদ, নূর হোসেন নুরু, হাসান ওসমান চৌধুরী, মোস্তাক আহমদ, আলী হায়দার, আনোয়ার হোসেন আরজু, অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এস এম রব, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, এম এ গফুর বাবুল, নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, তফাজ্জল হোসেন, আসাদুজ্জামান দিদার, আমান উল­াহ আমান, এরশাদ উল­াহ, মো. সেলিম, রাজন খান, এমদাদুল হক বাদশা, জিয়াউর রহমান জিয়া, রাসেল নিজাম, মো. আলাউদ্দিন, মো. বেলাল, মো. জসিম উদ্দিন, সালাহ উদ্দিন প্রমুখ।