অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সীতাকুণ্ডে গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবী হত্যা

0
.

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
জেলার সীতাকুণ্ডের বার আউলিয়া থেকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলানো অবস্থায় বিবি আয়েশা লাকি (২১) নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বার আউলিয়া মাজারের পূর্ব পার্শ্বে জসিম উদ্দিনের বাড়ি থেকে সীতাকুণ্ড মডেল থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেন।

পুলিশ লাশটি সুরতাল করে ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লাকির স্বামী সেলিম উদ্দিন এবং ভাসুর জসিমকে আটক করেছে পুলিশ। এটাকে ফাঁসি নয় বলে দাবী করছে লাকির আত্নীয়-স্বজনরা।

লাকির খালা পারভিন আক্তার ও নানী নুরজাহান বেগম বলেন, স্বামী, ভাসুর,জা মিলে লাকিকে হত্যা করে লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দিয়েছে।

জানা যায়, ৪ বছর আগে মৃত নজির আহমদের ছেলে সেলিম এর সাথে মৃত নুর উদ্দিনের মেয়ে বিবি আয়েশা লাকির বিয়ে হয়। তাদের আড়াই বছরের এক শিশুপুত্র রয়েছে। লাকির মা-বাবা মারা যাওয়ার পর শীতলপুর গামারীতলা এলাকায় নানার বাড়িতে বড় হয় লাকি। নানা নুর আহম্মদ নাতনী লাকিকে বিয়ে দেয়।

লাকির খালা পারভিন আক্তার বলেন, আমার ভাগনীর বিয়ের পর থেকে স্বামীর সাথে তার ভাবির পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। বিষয়টি আমার ভাগনী বারবার আমাদেরকে জানিয়েছিল। স্বামী সেলিম আগেও একটা বিয়ে করে পরকিয়ার কারণে সে স্ত্রী চলে যায়। সকালে আমাদেরকে জানানো হয় লাকি ফাঁসি খেয়েছে।

এব্যাপারে স্বামী সেলিম ভাবির সাথে পরকিয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, রাতে আমার স্ত্রীর সাথে সামান্য কথাকাটাকাটি হয়, এর পর সে মোবাইল ভেঙ্গে ফেলে। আমি রাগ করে অন্য রুমে শুতে যায়। তারপর মধ্যে রাতে আমার ছেলের কান্নার আওয়াজ শুনে দরজা খুলতে গিয়ে দেখি দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। এরপর বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য নাছিরকে জানায়। সকাল থেকেই দরজা খুলতে না পেরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ দরজার খিল খুলে দেখতে পাই সিলিং ফ্যানের সাথে সে ঝুলে আছে।

এব্যাপারে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি ( তদন্ত) শামীম শেখ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনারস্থলে গিয়ে ভিতর থেকে রুমের দরজা বন্ধ পাই, পরে লাকির শশুড় বাড়ির লোকজনের সামনে ভিতর থেকে লাগানো খিল খন্তা দিয়ে খুলে দেখতে পাই ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলানো লাশ উদ্ধার করি, সুরতাল রির্পোট তৈরী করে দেখা যায় শুধুমাত্র গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে। এটা কি হত্যা না আত্নহত্যা তা ময়না তদন্তের পর জানা যাবে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছি এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী এবং তার বড় ভাইকে আটক করা হয়েছে।