অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ননদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করলেন লোহাগাড়ার ভাবী

0
.

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

ননদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার এক ভাবী।

মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের কেন্দ্রীয় পত্রগ্রহণ ও অভিযোগ শাখা কর্তৃক সীল দিয়ে গৃহিত সেই অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের বেপারী পাড়ার ফরিদা বেগম তার ভাইয়ের স্ত্রী বিধবা রোকসানা আক্তারকে নিজের বাড়ি থেকে উৎখাত করে।

এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে হারানো বাড়ি-ভিটে ফিরে পেতে বিধবা রোকসানা আক্তার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ভিকটিম রোকসানা আক্তার আধুনগরের সর্দ্দানী পাড়ার মৃত জসিম উদ্দিনের স্ত্রী। ২০১৭ সালের ২৬ মার্চ তার স্বামী প্রবাসে মারা যান। স্বামীকে হারিয়ে ৪ কন্যা সন্তানকে নিয়ে অসহায় অবস্থায় পড়েন তিনি। অভিযুক্ত ফরিদা বেগম তার স্বামীর বোন হন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করা অভিযোগে রোকসানার দাবি, টেকনাফের শামসুল নামে এক ব্যক্তি ও ফরিদা বেগম পাশাপাশি বাসায় থাকতেন। শামসুল আগে থেকে ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িত ছিল। তাদের দুজনের মধ্যে সু-সম্পর্কেও এক পর্যায়ে ফরিদা বেগমও ইয়াবা পাচাওে জড়িয়ে পড়ে। গত কিছুদিন আগে মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে টেকনাফে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে শামসু নিহত হয়।

অভিযোগ রয়েছে, ফরিদা বেগম শামসুলকে তার বাড়ীতে ব্যবসায়ীক হিসাবের কথা বলে ডেকে এনে নগদ টাকা নিজের কাছে রেখে দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুুলে দেন। ফরিদার এসব ব্যাপার সেসময় পত্র-পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়। এছাড়া নানা অসামাজিক ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ফরিদা বেগমকে গত ৫ নভেম্বর আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে তালাক দিয়েছেন তার স্বামী প্রবাসী আবুল হাশেম।

এদিকে, ফরিদা বেগমের মাদক ব্যবসা ও বিশাল অর্থ সম্পদের খবর প্রশাসন ও সাংবাদিকদেরকে দেওয়ার জের ধরে ফরিদা ও তার বোন কানিছা সম্প্রতি ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনে রোকসানা আক্তারকে তার বাড়ী থেকে বের করে দেয় এবং তার স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পদ গাড়ি-বাড়ি ও জায়গা-জমি জবর দখল করে রাখে। এমনকি এসব দাবী করলে প্রাণ নাশেরও হুমকি দেয়। তাই বাধ্যহয়ে তিনি পিত্রালয়ে অবস্থান নিয়েছেন।

স্থানীয় থানায় না করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কেন অভিযোগ করলেন প্রশ্ন করা হলে অভিযোগকারী রোকসানা আক্তার জানান, ‘স্থানীয় প্রশাসন ফরিদার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় অবশেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছি। একই অভিযোগ দায়ের করেছি পুলিশের আইজি, ডিআইজি, এসপি, র‌্যাব মহা পরিচালক ও র‌্যাব -৭ বরাবরেও।’

কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি আরো বলেন, ‘এমনিতে আমার পিতা একজন অস্বচ্ছল মানুষ। তার উপর আমার কন্যাদেরকে নিয়ে আমি উঠেছি। বাবা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। আমি আমার ৪ কন্যাকে নিয়ে মরহুম স্বামীর বাড়ি-ভিটেয় ফিরে যেতে চাই।’

এসব অভিযোগের ব্যাপারে অভিযুক্ত ফরিদা বেগমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। মূলত রোকসানা বেগম নিজেই বাপের বাড়ি পালিয়ে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’