অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চাঁটগাইয়্যা কন্যার প্রেমে পড়ে বাংলাদেশে এসে বিয়ের পিঁড়িতে ব্রিটিশ তরুণ (ভিডিও)

0
.

লেখাপড়ার করতেই লন্ডনে ছুটে গিয়েছিলেন চাঁটগাইয়্যা মেয়ে ফেরদৌসি কবির মুক্তা। লেখাপড়ার ফাঁকে সেখানে পরিচয় হয় ব্রিটিশ তরুণ গ্রাহাম ষ্টুয়ার্টের সঙ্গে। সে থেকে দুজনে জড়িয়ে পড়ে প্রেমের ফাঁদে।

অবশেষে সে প্রেমকে বাস্তবে রূপ দিতে বাংলাদেশে ছুটে এসেছে ব্রিটিশ তরুণ গ্রাহাম ষ্টুয়ার্ট। মুক্তার সাথে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন ব্রিটিশ এই তরুণ। তার আগেই নিজের ধর্মত্যাগ করে মুসলমান হয়ে নাম পাল্টে রেখেছেন সাইমন কবির।

.

আজ শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) জাঁকজমক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বন্দরনগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে মুক্তার আর সাইমন কবিরের বিয়ের অনুষ্ঠান। এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর গ্রাহামে বাংলাদেশে আসেন।

অনুষ্ঠানে কথা হয় ব্রিটিশ তরুণ বর সাইমন কবিরের সঙ্গে। তিনি এখনো পুরোপুরি বাংলা বলতে পারেন না। ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলা ইংরেজিতে অনুভূতি জানাতে গিয়ে সাইমন জানায় বাঙ্গালী এই বিয়ে সাংস্কৃতি অদ্ভুদ। তার খুবই ভালো লাগছে নতুন এই পরিবেশে। তিনি সবার সাথে ভাব বিনিময় করতে না পারলো অনুষ্ঠান দারুণ উপভোগ করেছেন। বিয়ের পর খুব শীঘ্রই নিজের বাঙ্গালী বউকে নিয়ে আবার লন্ডনে ছুটে যাবেন।

.

ফেরদৌসি কবির মুক্তার গ্রামের বাড়ী চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায়। তার বাবার নাম হুমায়ুন কবির হেলালী। চট্টগ্রাম শহরেই তার বেড়ে উঠা। উচ্চ শিক্ষার জন্য কয়েক বছর আগে ছুটে যান ব্রিটনে। সেখানে পিএইডি করেন। লন্ডনে মুক্তার বড় বোন এবং বড়ভাই রয়েছেন। তার বোন পেশায় ব্যারিষ্টার। তিনি লন্ডনে স্বামী সন্তান নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। বড়ভাই সোয়েব কবির দেশের একটি বেসরকারী টেলিভিশনের লন্ডন প্রতিনিধি।

সে সুত্রে বিয়েতে যোগদেন ঢাকা চট্টগ্রামের বেশ কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশার মানুষ।

বিয়ের পর বর বর্তমানে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার লাভলেন এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছেন ব্রিটিশ তরুণ সাইমন কবির।

.

ফেরদৌসি কবির মুক্তার বাবা হুমায়ুন কবির হেলালী জানান, মুক্তা ২০১৭ সালে লন্ডনের নটিংহাম ইউনিভার্সিটিতে পড়তে যান। লন্ডনে পড়াকালীন সময়ে তার সঙ্গে পরিচয় হয় ব্রিটিশ তরুণ গ্রাহাম ষ্টুয়ার্ট এর। পরে দুজন দুজনকে পছন্দ করার পর পারিবারিকভাবে বিয়ের কথা উঠলে ধর্মীয় বিষয়টি সামনে আসে। পরে গ্রাহাম ইসলাম ধর্ম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।

ভিডিও দেখুন-

তিনি জানান “ইসলাম গ্রহণের পর গ্রাহাম আমাদের পারিবারিক টাইটেল ‘কবির’ গ্রহণ করে তার নাম রাখে সাইমন কবির”।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সামাজিকতার বিষয়টি তাকে জানানোর পর সে এখানে এসে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়।  এরপর থেকে সে আমাদের বাসায় আছে।

বাঙালি রীতি অনুযায়ী ২৬ ডিসেম্বর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হয়। ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম নগরে পারিবারিকভাবে তাদের বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।