অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামে ওসি প্রদীপসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা

0
.

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থেকে দুই ভাইকে (ফারুক ও আজাদ) ধরে নিয়ে টেকনাফে ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে মামলা হয়েছে।

আজ বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নিহতদের বোন জিনাত সুলতানা শাহীন।

বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের আইনি সহায়তায় এই মামলাটি দায়ের করেন বাদী।

মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তারা হলেন- প্রদীপ কুমার দাশ (৪৫) বরখাস্তুকৃত ওসি টেকনাফ, ইফতেখারুল ইসলাম (৩৭) এস আই, টেকনাফ থানা, মাজাহারুল (৩৬), কনেস্টেবল টেকনাফ থানা, দীন ইসলাম (৩৪) কনেস্টেবল, আমজাদ (৩৫) কনেস্টেবল, টেকনাফ থানা সহ অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জন।

আরও খবর: চন্দনাইশ থেকে দুই ভাইকে টেকনাফে নিয়ে ক্রসফায়ারে হত্যা করে ওসি প্রদীপ

মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান পাঠক ডট নিউজকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আট লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে বাদীর বিদেশ ফেরত ও পেয়ারা চাষি দুই ভাইকে চন্দনাইশ পুলিশের সহায়তায় বাসা থেকে ধরে নিয়ে যান টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা। এরপর টেকনাফ নিয়ে ক্রসফায়ারের নাটক সাজিয়ে নামে তাদের হত্যা করে পুলিশ।

আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে আনোয়ারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

নিহত দুই ভাইয়ের বোন আইরিন আক্তার বলেন, তার ভাই আজাদ দীর্ঘদিন বিদেশে ছিল। গত ৬ রমজান দেশে আসে। বড়ভাই ফারুক দেশে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতেন। পাশাপাশি তারা স্থানীয়ভাবে পেয়ারা বাগান করতেন। ফারুক ও আজাদ ইয়াবার কারবারে কখনো জড়িত ছিলনা।

আইরিন আরও বলেন, গত ১৩ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আজাদ তার এক বন্ধুর ফোন পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। সর্বশেষ ১৪ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে আজাদের মোবাইল ফোন থেকে মায়ের মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। তাতে লেখা ছিল ‘মা আমি শেষ।’

এর পরপরই তার পরিবারের পক্ষ থেকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ১৫ জুলাই চন্দনাইশ থানায় এ বিষয়ে জিডি করতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় দুপুর ২টার দিকে ফারুকের বাসায় পুলিশ আসে। তারা বাসায় তল্লাশি চালিয়ে কিছু না পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা বলে ফারুকে নিয়ে যায় এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানায় পুলিশ কিন্তু রাত ৮টার দিকে জানতে পারি, ১৪ জুলাই ফারুকের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা হয়েছে।